করোনাকালে বিশ্বব্যাপী পর্যটন শিল্পে বড় ধরনের ধস নেমেছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে খাতটির ওপর নির্ভরশীল দেশগুলো। দক্ষিণ এশিয়ার এমনই একটি ছোট দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ।
ভারত মহাসাগরে অবস্থিত দেশটিতে ছোট-বড় প্রায় ১ হাজার ২০০টি দ্বীপ রয়েছে। পর্যটকদের জন্য ‘ব্যক্তিগত দ্বীপের’ ব্যবস্থা করেছে রিসোর্টগুলো। এসব দ্বীপে অনেকেই ছুটি কাটাতে আসছেন।
সিএনএন জানায়, প্রায় ৩২ হাজার বর্গমিটারের মালদ্বীপের বৃহত্তম ব্যক্তিগত দ্বীপ ‘ওয়াল্ডর্ফ অ্যাস্টোরিয়া মালদ্বীপ ইথাফুশি রিসোর্ট’। সংক্ষেপে ‘ইথাফুশি- দ্য প্রাইভেট আইল্যান্ড’ নামের দ্বীপটি এই সপ্তাহে উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে এক রাতের খরচ ৮০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকা প্রায় (এক ডলার সমান ৮৪ দশমিক ৮০ টাকা ধরে)।
বিদেশি পর্যটকদের টানতে এ দ্বীপে ৩টি ভবন রয়েছে, যাতে সর্বমোট ২৪ জনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে দ্বীপটির মূল আকর্ষণ হচ্ছে দুই বেডরুমের একটি বাগানবাড়ি। সেটি পানির ওপরে তৈরি করা হয়েছে। এতে একটি লিভিং রুম, ইনডোর ও আউটডোর ঝর্ণা, ইনফিনিটি পুল ও জাকুজি রয়েছে।
সৈকতের তীরবর্তী আরেকটি ৩ বেডরুমের বাগানবাড়ি রয়েছে। যাতে দুটি সুইমিংপুল রয়েছে। ৪ বেডরুমের বাড়িগুলোতে ২টি করে কিং ও কুইন বেডরুম, জাকুজি, কমন লিভিং রুম রয়েছে। এসব রুম থেকে সরাসরি সৈকতে নামার ব্যবস্থা রয়েছে।
এ ছাড়া ওয়াটার-স্পোর্টস, ডাইভিং ও সমুদ্র ভ্রমণ, স্পা, যোগ ব্যায়াম ও ব্যায়ামাগার রয়েছে। শিশুদের জন্য রয়েছে আলাদা পুল ও গেমিং এরিয়া।
বলা হয়, দেশটির রাজধানী মালে থেকে সহজেই রিসোর্টে যেতে পারবেন বিদেশি পর্যটকরা। ছয়টি নৌযানে করে মাত্র ৪০ মিনিটে পৌঁছানো যায়। বিমানে গেলে লাগবে মাত্র ১৫ মিনিট।
খাবারের ক্ষেত্রে দ্বীপগুলোতে নিজস্ব শেফের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অতিথিরা তাদের পছন্দ মতো খাবার অর্ডার করতে পারেন। শেফরা সেভাবেই খাবার পরিবেশন করে থাকে। তবে ১০ মিনিটের নৌযানে চরে ওয়াল্ডার্ফ এস্তোরিয়া রিসোর্টে গিয়েও খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।