ইস্তাম্বুল থেকে ফিরে ফজল মুহাম্মদ
(পূর্ব প্রকাশের পর..)
প্রজাতন্ত্রের মুসলমানরা অনেক আবেগী হয়ে উঠেন। কেউ কেউ রাতারাতি ইসলামী রাষ্ট কায়েমের স্বপ্নে বিভোর হয়ে যান। আমি তাদের বললাম বিগত ৭০ বছরের কম্যুনিস্ট শাসনে আপনারা ইসলামী শিক্ষা হারিয়ে ফেলেছেন। আপনাদের সন্তানদের আগে উচ্চ শিক্ষায় ইসলামী স্কলার বানান। তারপর দাওয়াহ কাজ সম্প্রসারণ করুন। সংগঠন শক্তিশালী করুন।
আমরা তখন সিদ্ধান্ত নিলাম ঐসব মুসলিম প্রজাতন্ত্র এবং বর্তমান রুশ ফেডারেশনের অধীনে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা থেকে একশ চৌকশ তরুনকে ইসলামী শিক্ষাসহ আধুনিক শিক্ষার জন্য Scholarship দেব। আমরা একশ ছাত্রকে নির্বাচিত করলাম। তাদেরকে মালেশিয়ার আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে IIUM তে নিয়ে আসলাম। মালেশিয়ার নেতা আনোয়ার ইব্রাহিমকে দায়িত্ব দিলাম। ঐ সময়ে আমার বন্ধু ড. আব্দুল হামিদ আবু সোলায়মান IIUM এর ভাইস চ্যান্সেলর। আর ঐসব একশ ছাত্র-ছাত্রীকে দেখভাল করার জন্য বসনিয়া থেকে একজন মুফতি মালেশিয়ায় নিয়ে আসা হলো। সময়ের পরিবর্তনে আমাদের নির্বাচিত একশ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ৯২ জনই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন। তাঁরা শিক্ষা, গবেষণা আর দাওয়াহ কাজে অবদান রাখছেন। বিগত ত্রিশ বছরে আমরা মধ্য এশিয়া থেকে আরও কয়েকশ ছাত্র-ছাত্রীকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশীপ দিয়েছি। তারা ইসলামী থিওলজীসহ উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেছেন।
আমি Optimistic পজেটিভ
ড. আহমেদ তুতুনজী তাঁর স্মৃতিচারণ মূলক সাক্ষাতকারে আরও বলেছেন, আমি IIFSO এবং WAMY কাজে অনেকবার পাকিস্তান সফর করেছি। লাহোরে মাওলানা সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদীর সাথে অসংখ্যবার দেখা হয়েছে। আমি ওখানে দেখেছি বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন দেশের মানুষ উনার সাথে সাক্ষাত করতে হাজির হতেন। তাদের অনেকেই মাওলানা মওদূদীর কাছে তাদের অভিযোগ বা নিজেদের সমস্যার কথা বলতেন। আর ঐ সব নেগেটিভ কথা শুনে উনার চেহারা ফেকাশে হয়ে যেত।
আমি ঐ সময় তরুন ছিলাম IIFSO এবং WAMY হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, বিচিত্র জনপদ আর বিভিন্ন জাতি গোষ্টির নিকট গিয়েছি। তাদের সাথে একান্ত আলাপ চারিতায় মিলিত হয়েছি। তাই আমি যখনই সুযোগ পেতাম মাওলানা সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদীকে আমি আমার সফর অভিজ্ঞতার ভাল ভাল খবরণ্ডলো বলতাম। আমার নিকট ভাল সংবাদ শুনে মাওলানা মওদূদী আনন্দিত হতেন, মনে হতো উনি যেন ভারমূক্ত হলেন।
আমি আমার সমগ্র জিন্দেগী আশাবাদী বা Optimistic ছিলাম, আছি এবং থাকবো ইনশা-আল্লাহ। আল্লাহ সুবহানুতায়ালা মুমিনদেরকে কুরআনে আশাবাদী এবং পজেটিভ থাকার নসীহত করেছেন। আল্লাহ বলেছেন, আমার রহমত থেকে নিরাশ হয়োনা।
আমি সব সময় সকল জায়গায় আশাবাদী। আমার সাথে যারা সাক্ষাত প্রার্থী হয় তাদেরকেও আমি আশার আলোর দিকে আহবান করি। আমি অতীতের সফলতা বা ব্যর্থতার দিকে তাকিয়ে থাকিনা। ভবিষ্যতের রঙ্গীন স্বপ্নেও আমি বিভোর হইনা।
আমি, আমার বর্তমানকে নিয়ে সুখে থাকি। আমি, আমার কর্ম, বর্তমান সময়, চলমান মুহুর্তকে সুন্দর পরিচ্ছন্ন এবং পরিপূর্ণভাবে সকল প্রকার সুন্দরের পরশ লাগিয়ে উপভোগ করি, কাজে লাগাই। আমি আমার বর্তমানকে নিয়ে সুখে আছি। আমার চারপাশে যারা আছে তাদের প্রতিও আমার সেই অনুরোধ বর্তমানের প্রতিটি মুহুর্তকে ইতিবাচক সুন্দর, গঠনমূলক কাজে ব্যয় করুন।
আমি মানুষকে বলি, আল্লাহ সুবহানু তায়ালার আরশে আজীম বা ডিভাইন জগতে কোন সারফেস নেই, দূরত্ব নেই, সময় নেই, সেখানে কোন অতীত নেই। আছে শুধুই বর্তমান। চিরস্থায়ী বর্তমানরূপে আল্লাহ পাকের ডিভাইন সম্রাজ্য সুসজ্জিত, সুতরাং বর্তমানই আনন্দের। সাফল্যের বর্তমানকে জয় করাই জীবনকে জয় করা, জীবনকে আনন্দ দেয়া।
IIIT প্রতিষ্ঠা
১৯৮০ দশকে ড.আহমেদ তুতুনজী ড. আনোয়ার ইব্রাহিম, ড. হিশাম আত-তালীব এবং ড. জামাল বারজীনিজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে International Institute of Islamic Thought (IIIT) প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এবং তাঁর টীম IIIT গবেষণা সংস্থার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ণ্ডলোতে মেধাবী, ছাত্র-ছাত্রীদের স্কলারশীপ দিয়ে যাচ্ছেন। ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা এবং আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে IIIT এর শাখা অফিস রয়েছে।
বিগত চার দশকে IIIT অনেক অসাধ্য গবেষণা কাজে সফল হয়েছে। অনেক গবেষক/প্রফেসরদের প্রতিষ্ঠা করেছে। বিভিন্ন ভাষায় ইসলাম থিওলজীসহ গভীর গবেষণা কাজে IIIT এর সমগ্র টীম জড়িত রয়েছেন। এবং IIIT তার শাখা অফিস ণ্ডলোর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাষায় পুস্তক প্রকাশনাও অব্যাহত রেখেছে।
ড.আহমেদ তুতুনজী জন্ম ও পরিবার
ড.আহমেদ তুতুনজী উত্তর ইরাকের অরবিল (Erbil) শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। সেটা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ১৯৪১ সালে। উনার পিতা আলহাজ্ব মুহাম্মদ একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। বাল্যকালে তিনি ও তাঁর সহোদর ভাই পিতার কাছে প্রতিদিন বাদ ফজর কোরআন শিখতেন। মাত্র ছয় বছর বয়সে ড. আহমদ তুতুনজী সমগ্র কুরআন খতম করেন। স্কুলের পাঠ শেষে ড. আহমদ তুতুনজী ও তার ভাই পিতার ব্যবসার কাজে সহযোগিতা করতেন। ১৯৫৮ সালে ড. আহমদ তুতুনজী বাগদাদের হাইস্কুল থেকে গ্রাজুয়েট হন। বিদ্যালয়ের ফাইনাল পরীক্ষায় ড. আহমদ তুতুনজী সমগ্র ইরাকের শীর্ষ ৫০ জন মেধাবী ছাত্রের একজন হয়েছিলেন। একই বছর উচ্চ শিক্ষার জন্য ড. আহমদ তুতুনজী ইংল্যান্ড গমন করেন। ১৯৭২ সালে ড. আহমদ তুতুনজী লিবিয়ার ত্রিপোলী শহরে Al-Fateh University অধীনে The College of Petroleum and Menerals Engineering বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৪ সালে তিনি সাউদী আরবের রিয়াদে King Soud University তে Petroleum Engineering বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন।
অনারারী ডিগ্রী লাভ।
ড. আহমদ তুতুনজী ২০১৬ সালে মালেশিয়ার UNISEL বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Doctor of Philosophy in Social Science সম্মানসূচক Ph.D ডিগ্রী লাভ করেন। ২০১৮ সালে মালেয়শিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় IIUM থেকে ড. আহমদ তুতুনজী’কে The Lifetime Outstanding Achievement Award প্রদান করা হয়। ২০১৯ সালে ড. আহমদ তুতুনজী’কে কানাডার মুসলিম সংস্থার পক্ষ থেকে International Global Dawah Award প্রদান করা হয়।
ড. আহমদ তুতুনজী একজন সফল দায়ী। একজন দক্ষ সংগঠক। একজন অসাধারণ গবেষকদের গবেষক। আমার ভাষায় বর্তমান মুসলিম বিশ্বে চলমান থিংক ট্যাংকারদের থিংক ট্যাংক তিনি। ড. আহমদ তুতুনজী আরবী, ইংরেজি, তুর্কী ও কুর্দী ভাষায় সমান পারদর্শী। তিনি পাঁচ সন্তানের জনক। তাঁর ১৮ জন নাতি-নাতনী রয়েছে।
ড. আহমদ তুতুনজী তাঁর আন্তর্জাতিক বর্ণাঢ্য কর্মবহুল জীবন পরিক্রমায়। তাঁর জীবনের গতির চাকার পরতে পরতে যেসব বাস্তবমুখী শিক্ষা পেয়েছেন সেখান থেকে আগামী দিনের তরুন সমাজের জন্য ৩৩ দফা উপদেশমূলক বানী দিয়েছেন। আমাদের ভবিষ্যত তরুন নেতৃত্ব ঐসব জীবনমুখী শিক্ষামূলক নসীহত থেকে তাদের চলমান কর্ম দিবসের পাথেয় হবে।
যাপিত জীবনের ৩৩ দফা অভিজ্ঞতা:
১। বিদ্যালয়ে আগে পাঠ দেয়া হয় এবং পরে পরীক্ষা। আর জীবনের ক্ষেত্রে সংগ্রাম/পরীক্ষা আগে পরে শিক্ষা;
২। একজন জ্ঞানী মানুষের সাথে সাফন্য সময় বসা বা কথা বলা দীর্ঘ একমাস অধ্যয়নের সমতুল্য;
৩। ভুল পথে খরগোশের মত দ্রুত গতিতে চলার চেয়ে সঠিক পথে কচ্ছপের মত ধীর গতিতে চলা অধিক উত্তম।
৪। জীবন চলার পথ পরিক্রমায় আমি বহু শিক্ষিত লোক দেখেছি। কিন্তু তাদের মাঝে ভদ্র, নীতিবান লোকের সংখ্যা খুবই কম পেয়েছি।
৫। চারপাশের পরিচিত সবাইকে খুশী করার চেষ্টা ব্যর্থতার চাবিকাঠি।
৬। আমি দেখেছি, জীবনের সকল অর্জনই সাফল্য নয়, বরং কষ্টদায়ক কর্মের মাধ্যমে যা অর্জিত হয় উহাই সাফল্য।
৭। মানব জীবনে সফল হওয়াটাই সব কিছু নয়, বরং সফল হবার প্রচন্ড আগ্রহই সব কিছু।
৮। জীবনে সফল হতে হলে নেতিবাচক, হিংসুক ও পরশ্রীকাতর মানুষ থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ ঐসব বদ স্বভাব কলেরার মত ব্যধি। যা মানুষকে অসুস্থ করে ফেলে। পরিনামে মনুষত্বের অকাল মৃত্যু ঘটে।
৯। আমি জীবনে শিখেছি ভাল কাজ, ভাল কথার চেয়ে অধিক উত্তম।
১০। আমি জীবনভরে পর্যবেক্ষণ করেছি, এই বিশ্বে যা কিছুই সৃষ্টি হয়েছে তা এক মিনিটের চিন্তা থেকেই উৎসারিত।
১১। যে কোন কাজ শুরুর আগে ঐ কাজটি করার সর্ব উত্তম পদ্ধতি বের করা উচিত।
১২। আমি জীবনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, মানুষ দ্রুত কাজ বা তার দ্রুত গতিকে ভুলে যায়। কিন্তু কোয়ালিটি সম্পন্ন কাজ মানুষ কখনো ভুলেনা।
১৩। আমি দেখেছি, আমার নিজেকে, নিজের সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়া পৃথিবীর সাথে প্রতিযোগিতার চেয়ে উত্তম। যিনি নিজের সাথে প্রতিযোগিতায় অভ্যস্ত। তিনি প্রতিনিয়তই উন্নতির শিখরে উঠেন তার গতকালের চেয়ে আজকের দিনটি উত্তম হয়। আর আজকের চেয়ে আগামী দিনটি উত্তম হয়ে আসে।
১৪। জীবনের ঝুকি নেয়া ছাড়া উন্নতি হয়না।
১৫। আমার জীবন চলার পথে দেখেছি, ব্যর্থ লোকেরা বলে থাকে সাফল্য একটা ভাগ্যের ব্যাপার মাত্র।
১৬। মানুষের কোন স্বপ্নই কষ্ট ছাড়া বাস্তবায়ন হয়না।
১৭। আধুনিক প্রযুক্তির ইন্টারনেট, কম্পিউটারের কোন শক্তি নেই যতক্ষণ না ঐ শক্তিকে যথাযথ কর্মসূচীর মাধ্যমে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা না হয়।
১৮। যেসব মানুষ ব্যর্থতাকে মুকাবিলা করার সাহস রাখে, তারাই সঠিক কাজে সাফল্য পায়।
১৯। আমি দেখেছি, জীবনে মানুষের ব্যর্থতাই তার আসল পরাজয় নয়। বরং ব্যর্থ হবার পর হাত ণ্ডটিয়ে বসে থাকার নামই চূড়ান্ত পরাজয়।
২০। ধৈর্র্য ও সহনশীলতায় মানুষ তার চূড়ান্ত সাফল্য লাভ করে।
২১। যে সব মানুষ অন্যের বড়ত্বকে খাটো করে বা ধ্বংস করতে চায় সে বড় নয়। বরং যে মানুষ অন্যের বড়ত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে নিজে বড়ত্ব প্রমাণ করতে পারেন তিনিই সবার থেকে বড় হয়ে যান।
২২। মানুষের উদ্যোম ছাড়া পৃথিবীর বড় কোন কাজ সফলতা পায়নি।
২৩। মানুষের মুচকি হাসিতে কোন পয়সা খরচ হয়না। তবে এতে বিনা পয়সায় অনেক লাভ হয়।
২৪। পৃথিবীর যত আবিষ্কার হয়েছে, তবে তাহা আবিষ্কারের আগে মানুষ মনে করতো উহা আবিষ্কার অসম্ভব বিষয়।
২৫। প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় কোন বিষয় নয়, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করাই বড় কথা বা বড় কাজ।
২৬। দৈর্য্য বা সবর মানুষের সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
২৭। আমি দেখেছি, দুনিয়ায় ব্যর্থ মানুষ দুই প্রকার। প্রথম শ্রেণির ব্যর্থ মানুষ শুধু চিন্তা করে কিন্তু কোন কাজ করেনা। আর দ্বিতীয় প্রকার ব্যর্থ মানুষ শুধু কাজ করে যায় কিন্তু কোনই চিন্তা ফিকির করেনা।
২৮। যে লোক কোন কাজই করেনা, তার কোন ভুল হয়না। কাজের মাধ্যমে ভুল হয়। আর যেখানে ভুল হয়, সেখানেই ভুল সংশোধনের রাস্তা বের হয়।
২৯। মানব জীবনে প্রত্যাশিত কোন বড় উপহারের চেয়ে অপ্রত্যাশিত অনেক ছোট উপঢৌকন অনেক বেশী প্রভাব ফেলে।
৩০। জীবনে চলার পথে মানুষের নিকট অপছন্দনীয় হলেও অনেক সময় ণ্ডরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
৩১। আমার অন্তর বা বিবেক যদি বলে আমি সঠিক পথে, তবে সেটাই সঠিক। দুনিয়ার সকল মানুষ আমাকে বেঠিক বললেও তাতে কিছু যায়-আসেনা।
৩২। সমস্যা মুক্ত জীবনে সুখ নেই, আনন্দ নেই বরং মানুষের সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানেই জীবনে সুখ দেয়, আনন্দ বয়ে আনে।
৩৩। আমার জীবনে গতকাল হল আমার ব্যাংকের ভাঙ্গানো চেক যা ইতোমধ্যে খরচ হয়ে গেছে। আর আগামীকাল হলো অবশিষ্ট চেক। যা ব্যাংক ম্যানেজার তারিখের আগে ভাঙ্গাতে দিবেনা। আর আমার জীবনের আজকের দিনটি হলো নগদ টাকা।
যা বিচক্ষণতার সাথে খরচ করলে আমার এবং আমার পরিবার পরিজনসহ সবারই কল্যাণ বয়ে আনবে।