নিজদেশে প্রবাসী : ডিটেনশন ক্যাম্পের করুণ গল্প

মুনশী নাঈম

আসামের কোকঝাড় জেলের মধ্যে বিদেশিদের জন্য বানানো একটি বিশেষ ডিটেনশন ক্যাম্প (বন্দী শিবির)। ক্যাম্পে নতুন একজনকে আনা হয়েছে আজ। তার নাম সুভদ্রা সরকার। বয়স দুমাস পর পঁচাশির কোটা পার হবে। বঙাইগাঁও জেলার বাসিন্দা তিনি। বিশেষ ট্রাইবুনাল তাকে ‘বিদেশি’ আখ্যা দিয়ে ডিটেশন ক্যাম্পে পাঠিয়েছে। তাকে নিয়ে এসেছে তার নাতি পহ্লাদ সরকার। পাশে আছে বঙাইগাঁও জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপার রঞ্জিত বর্মন। পহ্লাদ বললো, ‘স্যার, ঠাকুরমা চোখেই দেখেন না। যতটুকু দেখেন, একা একা চলাফেরা করার মতো না। থাকবেন কীভাবে এই ক্যাম্পে?’
পুলিশ সুপার বললেন, ‘কয়েক দফা নোটিশ পাঠানো হয়েছিল আদালতে হাজির হয়ে নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে। তোমার ঠাকুরমা আসেননি। তাই ট্রাইবুনাল এই রায় দিয়েছে।’
পহ্লাদ বলল, ‘ঠাকুরমা এতটাই অসুস্থ যে, আদালতে যাবার মতো অবস্থা ছিল না। তবে আমার কাকা সব নথি নিয়ে গিয়েছিলেন।’
পুলিশ সুপার একটু রাগান্বিত কণ্ঠে বললেন, ‘নথি ঠিক আছে সব?’
পহ্লাদ একদলা কাগজ এগিয়ে বলে, ‘এই দেখেন। নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য ১৯৭৫-এর ২৫ মার্চের আগের ডকুমেন্টস দেখাতে বলা হয়েছে। ঠাকুরমার ১৯৬৬ সালের ভোটার তালিকায় নাম আছে। তিনি বিদেশি হন কী করে?’
কাগজণ্ডলো না দেখেও দেখার ভান করে পুলিশ সুপার বললেন, ‘এখানে পুলিশের কিছুই করার নেই। বিশেষ ট্রাইবুনালে হয়নি। এবার হাইকোর্টে আপিল করতে পারো।’
পহ্লাদ সরকার ঠাকুরমার দিকে তাকায়। বয়সের ভারে ন্যুব্জ ঠাকুরমার চোখে চিকচিক করছে জল। শরীরের চামড়ায় ভাঁজ। গালের শুকনো চামড়ার ভাঁজে আটকে আছে গোটা দুয়েক অশ্রুর টুকরো। পহ্লাদ অশ্রু মুছে দিয়ে সান্ত্বনা দেয়, ‘তুমি ভাইবো না ঠাকুরমা। কয়ডা দিন থাকো কষ্ট করে, হাইকোর্টে গিয়ে তোমার জন্য জামিন নিয়া আসমু।’
নাতির বুকের মধ্যিখানে সুভদ্রা সরকার এতটুকুন হয়ে যান। তীরহারা ঢেউ-সাগরে নিজেকে মনে হয় অসহায় বিপদসঙ্কুল ডলার ডিঙি নৌকা। কখন ডুবে যায় কেউ জানে না। পহ্লাদ সরকার বলল, ‘কাইন্দো না ঠাকুরমা। আমি নিজে আইসা ওষুধ দিয়া যামু। ঠিকমতো ওষুধ খাইয়ো।’
২. গোয়ালিয়া ডিটেশন ক্যাম্পের ১৩ নাম্বার রুম। সরকারি ব্যবস্থাপনা অনুযায়ী একরুমে পাঁচজন থাকার কথা থাকলেও এই রুমে থাকেন ১৫ জন মহিলা। গাদাগাদি হয়, গরমে তীব্র ঘামের গন্ধে প্রাণ হয় ওষ্ঠাগত, তবুও। নামাজের সময় হলে নিজের ছোট বিছানা ণ্ডছিয়ে নামাজে দাঁড়ান তাহমিনা বেগম। সুরা-কেরাতের চেয়ে তার বেশি মনে পড়ে তিন সন্তানের কথা। বড়টার নাম তাসলিমা, বয়স ৮। মেঝোটার নাম রুহুল, বয়স ৬। ছোটটার নাম মেহের, বয়স ৪। তিন সন্তানের ছবি চোখ থেকে যেন সরাতেই পারেন না। দোয়ায় কেবল কান্না করেন, কিছু বলেন না। পাশের বেডের মুক্তা বেগম জিজ্ঞেস করলেন, ‘দোয়ায় দেখি শুধু কান্না করো। কিছু বলো না।’
তাহমিনা বললেন, ‘বলবার জন্য তো ভাষা লাগে। আমার তো সব ভাষা হারিয়ে গেছে। আমি ক্যাম্পে, আমার তিন সন্তান বাড়িতে। স্বামী একা এদের সামলাতে পারবে? কে তাদের রান্না করে দেবে, কে তাদের যত্ন করবে? এসব ভাবলে আমার মুখে কথা আসে না।’
মুক্তা বেগম তাহমিনার পিঠে হাত বুলিয়ে বললেন, ‘এই দেখো আমি। সারাজীবন নিজের মাটিতে কাটিয়ে এখন শেষ বয়সে এসে জায়গা হলো ডিটেনশন ক্যাম্পে। বাবার বাড়ি থেকে গিয়ে কত খুঁজে কাগজ আনলাম। শুধু একটা নামের বানানে ভুল থাকার কারণে আমাকে বিদেশি বানিয়ে দিল রাষ্ট্র।’
তাহমিনার কানে ৬০ বছর বয়সী মুক্তা বেগমের কথা যায় না। তার কানে কেবল বাজতে থাকে, ‘ছোট মেয়ে মেহেরের কণ্ঠ_আম্মা তুমি কবে আইবা?’
আসামের দু’একটা টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক তাহমিনার বাড়িতে তার সন্তানদের দেখতে গেছে। মেহের কিছু না বুঝলেও ক্যামেরার সামনে চোখের জল আটকে রাখতে পারল না বড় মেয়ে তাসলিমা। চোখের জল মুছতে মুছতে বলল, ‘রান্না করে খেতে খুব কষ্ট হয়। না খেয়ে স্কুলে যাই। রাতে ভয় করে।’ মেঝো ছেলে কান্না করতে করতেই বলল, ‘মায়েরে ছাড়া খুব কষ্ট হয়। সবসময় খাইতে পারি না। কে পড়ায়, কে খাওয়ায়। জানি না কবে আসবে মা।’
এইসব বাচ্চা এনআরসির সমীকরণ বুঝে না। বুঝে দুমুঠো ভাত, মায়ের আদর, রাতে মাকে জড়িয়ে ঘুমাতে যাওয়া। কিন্তু কোনোটাই তারা পায় না। কি রাঁধে আট বছরের তাসলিমা, তাই খেয়ে কোনোমতো বেঁচে থাকে তারা মায়ের ফেরার অপেক্ষায়।
৩. আসামের তেজপুর ডিটেনশন ক্যাম্পে ১৩ অক্টোবর মারা যান দুলাল পাল নামে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ। এর ১০দিন পেরোতেই ২৪ অক্টোবর গোয়ালিয়া ডিটেশন ক্যাম্পে মারা যান ফালু দাস নামে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ। উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। ডিটেনশন ক্যাম্পে চিকিৎসা করায়নি সরকার। গত ১৩ অক্টোবর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে পরীক্ষা ছাড়া রক্তচাপের ওষুধ খাইয়ে দেয়া হয়। এতে অবস্থা সংকটজনক হয়ে উঠলে ণ্ডয়াহাটি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়। পরীক্ষা করে ডাক্তার বলেন, ‘তাকে ভুল ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে।’ তারপর চিকিৎসা করানো হলেও আর জ্ঞান ফেরেনি ফালু দাসের।
ফালু দাসের পরিবার সব শোক বুকে চেপে লাশ গ্রহণ করতে অস্বীকার করে দিয়েছে। মর্গের হিমঘরে ফালু দাস বরফ হচ্ছে জেনেও পরিবার বলেছে, ‘বিদেশি বলেই তো তাকে ডিটেনশন ক্যাম্পে নেয়া হয়েছে। এখন তার লাশ বিদেশেই পাঠানো হোক। আগে তাকে ভারতীয় ঘোষণা করা হোক, তারপর আমরা লাশ নেবো। ভারতীয় ঘোষণা না করলে লাশ নেবো না।’
সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘এতটা ক্ষোভ কেন দেখাচ্ছেন?’
উত্তরে ফালু দাসের মেয়ে সন্ধ্যা দাস বলেছিন, ‘আমার বাবার ১৯৫৬ সালের ভোটার তালিকায় নাম আছে। ৬১ সালের জমির দলিলেও আছে তাঁর নামে। এরপরও বাবাকে বিদেশি সন্দেহে মামলা করে পুলিশ। বাবা গরিব মৎস্যজীবী। চাষের জমি নেই। বাড়ির একটুকরো জমি বেচে ও মহাজনের কাছ থেকে ধার নিয়ে মামলা লড়েছেন। ভারতীয় নাগরিকের নথিপত্র দাখিল করা সত্ত্বেও বাবাকে বিদেশি তকমা দিয়ে জেলে পুরে দেয় পুলিশ।’
সন্ধ্যা দাস আরও বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা বাংলাভাষায় কথা বললেই ধরে নেয় বাংলাদেশি। তখন কোনও নথি যাচাই করতে চায় না তারা। জীবিতকালে বাবা ভারতীয় নাগরিকের নথি দেখানো সত্ত্বেও তাঁকে বিদেশি ঘোষণা করে, এখন মৃত্যুর পর বলছে মৃতদেহ আমাদেরকে বুঝে নিতে। বাবা যদি বিদেশি হন, তাহলে তাঁর মৃতদেহ বিদেশেই পাঠাক সরকার।’
ডিটেনশন ক্যাম্পে একের পর এক বাঙালির মৃত্যুতে বিজেপি’র বিরুদ্ধে রাজ্যের ভাষিক সংখ্যালঘুরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। শুধু চলতি বছরেই এখন পর্যন্ত নয়জন বন্দীর মৃত্যু ঘটেছে। রাজ্যের বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর এখনও পর্যন্ত ২৭ জন বন্দীর মৃত্যু ঘটেছে। এর মধ্যে দেড়মাসের একটি শিশুও রয়েছে। বেশিরভাগ মৃত্যুই অস্বাভাবিকভাবে ঘটছে। অভিযোগ উঠেছে বিজেপি সরকার পরিকল্পিতভাবে মেরে ফেলছে বন্দীদের। বর্তমানে রাজ্যের ছয়টি ডিটেনশন ক্যাম্পে ১১২২ জন বন্দী রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে ৪৩টি শিশুও বন্দী জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে।
৪. তিন বছর গোয়ালিপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দী থেকে ছাড়া পেয়েছেন হারেসা মণ্ডল। তার সেই অভিজ্ঞতা শুনতে মাঝেমধ্যেই উপস্থিত হয় সংবাদমাধ্যম। বিবিসিও ক্যামেরা তাক করেছিল তার বয়ানে।
‘ডিটেনশন ক্যাম্পে কেমন লেগেছে?’
‘অন্যরকম।
এতকিছু দেখলাম, বললে শেষ হবে না।’

‘কী কী দেখলেন?’

‘আমার সামনে কয়েকজন মারা গেল। অসুস্থ হয়ে পড়ল। চিকিৎসা নেই।’

‘আর?’

‘গর্ভবতী মহিলাও সেখানে আছে। তাদের কষ্ট সবচে বেশি।’

‘বাইরে যেতে দেয়?’

‘একদম না। গেট তালা থাকে সবসময়। ঘর আর উঠোন ছাড়া কেথাও যাওয়া যায় না।’

‘খাবার দেয় ঠিকমতো?’

‘আমার ক্যাম্পে দিত। মাসের শুরুতে দশ টাকার তেল, চাল, ডাল, একটা সাবান দিত।’

‘আপনাকে কেন ডিটেশন ক্যাম্পে নেয়া হয়েছিল?’

‘২০১৫ সালের ঘটনা। একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি দরজায় কে যেন ফেলে গেছে এনআরসির কাগজ। আমি তো পড়তে পারি না। রেখে দিলাম। দু মাস পর একদিন পুলিশ এসে বলল, কাগজ পাঠানো হয়েছে, আদালতে যাননি। তাই গ্রেফতার। আমাকে নিয়ে গেল। আমি বললাম আমি ভারতীয়, মণ্ডল পরিবারের। তারা আমার নাম হিন্দু করে নিয়ে গেলো, কথা শুনল না।’

‘খারাপ লাগেনি?’

‘তা লাগবে না? আমি রান্না করছিলাম। রান্না শেষ করতে দেয়নি। ক্যাম্পে লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ত, আমিও অসুস্থ হয়ে পড়তাম। কয়েকজনের মৃত্যু দেখে মনে হয়েছিল, আমারও বুঝি এই ক্যাম্পেই মৃত্যু হবে।’

৫.

আসামের বিভিন্ন ক্যাম্পে নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে বলে গত জানুয়ারিতে অভিযোগ তুলেছিল জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ।

২০ জানুয়ারি, ২০১৯-এ আসাম থেকে প্রকাশিত এক বাংলা দৈনিক পত্রিকায় বলা হয়, ১৯ জানুয়ারি শিলচর তোপখানার জামিয়া ইসলামিয়া মাদরাসায় ভাষণ দেয়ার সময় আসাম রাজ্য জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মোশতাক আনফার কাসেমি বলেন, ‘এখনও রাজ্যের বিভিন্ন ডিটেনশন ক্যাম্পে এমন নারীরা আটক রয়েছেন; যাদের ধর্ষণও করা হচ্ছে। কিন্তু এসব বিষয় নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতার মাথা-ব্যথা নেই।’

বিজেপিশাসিত আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পে নারীদের ধর্ষণ প্রসঙ্গে আসাম জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক ও ইউডিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুল কাদির কাশেমি বলেন, প্রথম কথা হলো, আগে থেকেই এরকম অভিযোগের কথা শুনে আসছি যে, ডিটেনশন ক্যাম্পে নারীদের শারীরিক নির্যাতন করা হচ্ছে। আজ খবরের কাগজে প্রচারমাধ্যমে তা উঠে এসেছে।

তিনি বলেন, আমরা ইতিপূর্বে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম। আজও আমরা সরকারের কাছে পুনরায় দাবি জানাবো কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কাছে যাতে নারীদের মান-সম্মান সুরক্ষিত হয়। কারণ এটা সম্পূর্ণভাবে মানবাধিকারবিরোধী কাজ।

৬.

এ তো গেল পুরাতন ডিটেশন ক্যাম্পের গল্প। এমন শত করুণ গল্প ডিটেনশন ক্যাম্পের রুমে রুমে রুমে তৈরি হচ্ছে। কিন্তু বাইরে আসছে না। বিবিসি বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করতে চাইলেও এ নিয়ে কেউ কথা বলতে রাজি হননি। থমথমে পরিবেশে ভারী হচ্ছে ক্যাম্পের বন্দী সংখ্যা।

২০১৪ সালে শিলচরে ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী পদপার্থী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় এলে সব ডিটেনশন ক্যাম্প ণ্ডঁড়িয়ে দেবেন। কিন্তু এখন হয়েছে উলটো। গত ৩১ আগস্ট, ২০১৯ এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়া ১৯ লাখের বেশি অসমীয়দের জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে আরও ১০টি ডিটেনশন ক্যাম্প। এইসব ক্যাম্প তৈরিতে মজুরি খাটছেন যেসব দরিদ্র মানুষ, তাদের অনেকের নামও এনআরসি তালিকায় ওঠেনি। কদিন পর তারাও নিজের হাতে তৈরি বন্দীশালায় নিজেই বন্দী হবেন। নিজের ঘামে গড়ে তোলা শিবিরের ২০ ফুট উঁচু দেয়াল টপকে তারাও দেখতে চাইবেন বাইরের পৃথিবী। কিন্তু তারা দেখতে পারবেন না। বিধ্বংসী হাহাকার গ্রাস করবে তাদের।

ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে শনাক্ত করা বিদেশিদের কয়েদখানার পোশাকি নাম ডিটেনশন ক্যাম্প। মানবাধিকারকর্মী সাধন পুরকায়স্থের মতে, এটা আসলে মৃত্যুপুরী। এখানে ঢুকলে মৃত্যুর আগে মুক্তি নেই। খুন বা ধর্ষণ করলেও মুক্তি মিলতে পারে। সাজা মকুবের সম্ভাবনা আছে। কিন্তু ডিটেনশন ক্যাম্প জীবনের শেষ ঠিকানা। ওখানে শেষ নিঃশ্বাস ফেলেছেন অনেকেই। বলা হচ্ছে, এখানকার আবাসিকরা তো সকলেই প্রমাণিত ‘বিদেশি’। ‘বাংলাদেশি’ই বেশি। কিন্তু বাংলাদেশ এদের সে দেশের নাগরিক বলে স্বীকার করে না। আসলে আবাসিকদের বেশির ভাগ ভারতেরই নাগরিক। আর্থিক দুরবস্থার কারণে নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারেননি। মেনে নিতে হয়েছে এই ভবিতব্য।

এমন আরো সংবাদ

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন !
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ সংবাদ