মানব ও অর্থ পাচারের দায়ে কুয়েতের আদালতের রায়ে দণ্ডিত লক্ষীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে। সোমবার সংসদ সচিবালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
স্বাধীনার পর বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো সংসদ সদস্যের বিদেশে আটক ও ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত হওয়ার পর পদ হারানোর ঘটনা এটিই প্র্রথম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর আগে বিষয়টি নিয়ে স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী তার কার্যালয়ে সংসদ সচিবালয়ে সংশ্লিস্টদ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় কুয়েত থেকে পাঠানো কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের মামলার রায়ের কপি পর্যালোচনা করা হয়। আরবি ও ইংরেজিতে লেখা ৬১ পৃষ্ঠার রায়ের কপি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের স্পিকারের দপ্তরে ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।
মাঝখানে তিন দিনের সরকারি ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসেই স্পিকার এ বিষয়টি নিয়ে সংসদ সচিবালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এখানেই বহুলালোচিত এবং বিতর্কিত কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সদস্য পদ বাতিলের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।
অর্থ ও মানব পাচারের মামলায় গত ২৮ জানুয়ারি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় কুয়েতের আদালত। পাশাপাশি তাকে ১৯ লাখ কুয়েতি রিয়াল বা ৫৩ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়।
গত বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েতের বাসা থেকে আটক করা হয় তাকে। আটকের সাড়ে সাত মাস আর বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর সাড়ে তিন মাসের মাথায় দণ্ডিত হন কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল।