ডিজে পার্টি, মদ পার্টি কিংবা শিশা লাউঞ্জের রঙিন জগতের আলো-আঁধারে ডিজে নেহার অন্যতম টার্গেট ছিলো শিল্পপতি কিংবা তাদের সন্তানরা। হাতের নাগালে কোনো শিল্পপতি পেয়ে গেলেই যেনো কপাল খুলে যেতো তার। কলাকৌশলে বিভিন্ন রকমের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেই জায়গা করে নিতো টার্গেটকৃতদের মনে। শিল্পপতি ছাড়াও রয়েছেন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক গাড়ি ব্যবসায়ী।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দরী তরুণীদের ম্যানেজ করে ওইসব শিল্পপতিদের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ করে দিতো নেহা। এর বিনিময়ে হাতিয়ে নিতো মোটা অংকের টাকা কিংবা দামি গিফট। শিল্পপতিদের সঙ্গে ওই সব একান্তের ছবি কিংবা ভিডিও গোপনে ধারণ করে নিজ সংরক্ষণে রাখতো নেহা। একই সময়ে সংগ্রহ করে ফেলতো ওইসব শিল্পপতির মুঠোফোন নম্বর, যে প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়ে যেতো তাদের ফেসবুকসহ অন্যান্য অনলাইন মাধ্যমে।
এদিকে ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়েছিলো ‘আবু জাফর মোহাম্মদ কার্লোস’ নামের আন্তর্জাতিক ইয়াবা ব্যবসায়ী। এই কার্লোসও ডিজে নেহার খুব কাছের এবং ঘনিষ্ঠ একজন ছিলো বলে জানা গেছে।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ডিসি হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমকে জানান, প্রতিদিন ওয়েস্টার্ন দামি দামি সব ড্রেসপড়ে বার ক্লাবে যেতো ডিজে নেহা। সেই পার্টিতে নিয়ে আসা হতো ধনী পরিবারের সন্তানদের। এটাই ছিলো নেহার আয়ের উৎস।