বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, বৈশাখি মেলা ও মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্ম মন্দির মন্ট্রিয়লে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে।গত ১৫ এপ্রিল শনিবার নগরীর মন্ক স্ট্রিটের মন্দির এলাকা ঐদিন বিকেল থেকে এ উপলক্ষে উৎসবের রূপ ধারণ করে।
শোভাযাত্রাটি মন্দির অঙ্গন থেকে শুরু হয়ে মন্ক স্ট্রিটের অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে পুনরায় মন্দিরে এসে শেষ হয়। অংশগ্রহনকারীদের হাতে ছিল আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ও কৃষ্টির নানা প্রতিরূপের ছবি আর শ্লোগানে আঁকা প্ল্যাকার্ড। তাঁরা ঢাক ঢোল বাজিয়ে, নেচেগেয়ে শোভাযাত্রাটিকে এক বিপুল আনন্দ উৎসবে পরিণত করেন। শিশু কিশোর থেকে প্রবীণ সকল বয়সের নর নারী এতে অংশ নেন। সড়ক জুড়ে ঢাক ঢোলের বাজনা, বৈশাখের গান, দেশের গান আর পাজামা পান্জাবী, শাড়িতে নরনারীদের উচ্ছ্বাসে সেসময়টায় ঐএলাকা হয়ে ওঠেছিল পুরোই বাংলাদেশের কোনো জনপদ।
বৈশাখি মেলার স্টলগুলোতেও দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের বেশ ভীড় ছিল। পিঠাপুলি, সন্দেশ, মিষ্টি,, ঝালমুড়ি নানা পদের খাবার, শাড়ি ও গয়নার পসরা নিয়ে সাজানো হয়েছিল স্টল।
সন্ধ্যায় শুরু হয় সনাতন ধর্ম মন্দিরের নব গঠিত কমিটির অভিষেক ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান। পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বোর্ড অব ডিরেক্টরের চেয়ারম্যান মলয় কান্তি বর্মন, ভাইস চেয়ারম্যান অজিত ধর শ্যাম, সভাপতি রতন কুমার মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার চৌধুরী মিঠুর নেতৃত্বাধীন নতুন কমিটি আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্ব গ্রহন করে।
সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীরা ছাড়াও অতিথি শিল্পী ছিলেন কলকাতার জনপ্রিয় শিল্পী মালঞ্চ চক্রবর্তী। স্থানীয়দের পরিবেশনায় নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি, যন্ত্রসঙ্গীত উপভোগ করেছেন সবাই।এতে শিশুকিশোররাও অংশ নেয়।
মালঞ্চ চক্রবর্তীর একক সঙ্গীতানুষ্ঠানটি বেশ জমজমাট ছিল। তিনি নানা ঘরানার গান করে মাতিয়ে রাখেন দর্শকদের। তাঁর সাথে সঙ্গত করেন স্বনামধন্য যন্ত্র সঙ্গীত শিল্পী লিটন ডি কষ্টা, রূপতনু শর্মা, ঝলক দেব চৌধুরী ও সন্জীব চৌধুরী।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন শক্তিব্রত হালদার মানু। সবশেষে সবাইকে সুস্বাদু নিরামিষ খাবার ও মিষ্টিমুখে আপ্যায়িত করা হয়।