১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী বাংলাদেশে যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, সেজন্য দেশটিকে বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওই হত্যাযজ্ঞকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাবনা (রেজল্যুশন) উত্থাপন করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে।
শুক্রবার হাউসের ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা রোহিত খান্না এবং রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা সিভ শ্যাবট এই রেজল্যুশন উত্থাপন করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতের বৃহত্তম বার্তাসংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া।
প্রস্তাবটি উত্থাপনের পর শুক্রবার এক টুইটবার্তায় শ্যাবট বলেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাংলাদেশে যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, তা কখনও আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত হবে না। যারা এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার তাদের স্মৃতি মুছে ফেলা সম্ভব নয়। এই হত্যাযজ্ঞকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলে তা বিশ্ব ইতিহাসের দলিল হয়ে থাকবে এবং আমেরিকানদের পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য দেশের জনগণও এ থেকে শিক্ষালাভ করতে পারবে’।
শ্যাবট বলেন, ‘আরও একটি ব্যাপার হলো- ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেওয়া হলে বিশ্বের যাবতীয় নিপীড়ক শক্তিকে আরও একবার এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে যে, এ ধরনের অপরাধ কখনও সহ্য করা বা ভুলে যাওয়ার মতো ব্যাপার নয়’।
এরপর শ্যাবট বলেন, ‘আমি এবং আমার বন্ধু ও আইনপ্রণেতা রোহিত খান্নার সহযোগিতায় কংগ্রেসে ১৯৭১ সালের ওই গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিতে এই প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। আমরা চাই ১৯৭১ সালে বর্তমান বাংলাদেশে যত বাঙ্গালী হিন্দু ও মুসলিম লোকজনকে হত্যা করেছে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনী- তাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক এবং এই গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হোক’।
অন্য এক টুইটবার্তায় রোহিত খান্না বলেন, ‘১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে লাখ লাখ মানুষ নিহত হয়েছিল। তাদের ৮০ শতাংশই ছিলেন হিন্দু। ১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সেনাবাহিনী যা করেছিল, পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যসব গণহত্যার মত সেটিও স্পষ্ট গণহত্যা’।