৫০তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন করলো টরন্টো’র বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল

কানাডার টরন্টোতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ যথাযথ মর্যাদা ও ভাব-
গাম্ভীর্যের মাধ্যমে ৫০-তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে। কোভিড-১৯-এর কারনে লক-
ডাউনের মধ্যেও বিজয় দিবসের এই অনুষ্ঠানটি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাগতিক দেশের
বিধি-বিধান পালন করে আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। অতঃপর অপরাহ্ণের
কর্মসূচী শুরু হয়- মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদগণ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি
শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিজয়
দিবসের ভিডিও বার্তা প্রদর্শন, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর
বাণী পাঠ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বাংলাদেশের কনসাল
জেনারেলের বক্তব্য ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। ৫০-তম বিজয় দিবসে কনস্যুলেট জেনারেলে
“বঙ্গবন্ধু কর্নার” চালু করা হয়।

কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন যে, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে
একটি মধ্যম-আয় ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশে পরিনত করার লক্ষ্যে নিরলস
কাজ করে যাচ্ছে। গত ১০ ডিসেম্বর বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা বহুমুখী সেতুর সর্বশেষ স্পানটি
স্থাপন করা হয়েছে। পদ্মা সেতুতে চলাচল এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। এছাড়া তিনি বলেন যে,
রাজধানীতে মেট্রোরেল চালু হচ্ছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন সড়ক চালু হয়েছে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম
এক্সপ্রেসওয়ে ও বুলেট ট্রেন নির্মাণ করার পরিকল্পনাও প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

অপ্রতিরোধ্য এই উন্নয়ন অভিযাত্রায় অধিকাংশ ব্যয় নির্বাহ করা হচ্ছে দেশের নিজস্ব তহবিল
থেকে। বিশ্বে বাংলাদেশ আজ একটি অর্থনৈতিক বিস্ময়।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সে ‘সোনার বাংলা’ অর্জন সম্ভব- শুধু প্রয়োজন দলমত
নির্বিশেষে স্বাধীনতার স্বপক্ষে একটি অসাম্প্রদায়িক মানসিকতা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর
বিজয় দিবসের ভাষণ উদ্ধৃত করে কনসাল জেনারেল বলেন, ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশ একটি
অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র- এ দেশ যেমন রবীন্দ্রনাথ, লালন শাহ ও জীবনানন্দের- তেমনি শাহজালাল
(রঃ), শাহ পরান (রঃ) ও খান জাহান আলীর। ১৯৭১ সালে লাখো শহীদের আত্মত্যাগ ছিল একটি
অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য- ধর্মনিরেপক্ষ বাংলাদেশের মধ্যেই নিহিত আছে আমাদের
কষ্টার্জিত স্বাধীনতার সার্থকতা।

সবশেষে, মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের
সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং বাংলাদেশের অব্যাহত শান্তি ও অগ্রগতির জন্য
বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এমন আরো সংবাদ

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন !
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ সংবাদ