বাবা-ছেলের অর্থপাচার!

যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান ক্যাটারপিলারের বাংলাদেশে একমাত্র সরবরাহকারী হয়েও ওই প্রতিষ্ঠানের তৈরি করা পাওয়ার প্ল্যান্ট সরাসরি আমদানি না করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়। আবার যে প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ঋণপত্র খোলা হয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে সিঙ্গাপুরের আরেক নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান থেকে সেই পণ্য সরবরাহ করা হয়েছে। নতুন যন্ত্রপাতি আমদানির চুক্তি করে আনা হয়েছে পুরনো যন্ত্রপাতি। এভাবে বিভিন্ন কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে ‘বাংলা ট্র্যাক’ গ্রুপের মালিকরা বিদেশে অর্থপাচার করছেন। সম্প্রতি এই গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বাংলা ট্র্যাক পাওয়ার ইউনিট-১-এর ওপর কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) পরিচালিত পরিদর্শন প্রতিবেদনে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

২০১৬ সালে ফাঁস হওয়া পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতেও বাংলা ট্র্যাকের মালিকদের নাম এসেছিল। এ বিষয়ে সমন্বিত তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গত মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক, দুদক, এনবিআর ও সিআইডির কাছে ওই প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে দুদক ও সিআইডি অনুসন্ধান ও তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

বিএফআইইউর প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের দিক থেকে যেটুকু করার ছিল সেটা করা হয়েছে। এখন যাদের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে, তারা চাইলে আন্তগভীর অনুসন্ধান ও তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে।’

বাংলা ট্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হলেন মো. আমিনুল হক। তবে গ্রুপটির বর্তমান চেয়ারম্যান ও এমডির দায়িত্বে আছেন তাঁর ছেলে তারেক ইকরামুল হক। এ গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বাংলা ট্র্যাক পাওয়ার ইউনিট-১ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড থেকে ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার পাঁচ বছরমেয়াদি ডিজেলভিত্তিক পাওয়ার জেনারেশন প্রকল্প স্থাপনের জন্য সম্মতিপত্র (এলওআই) পায়। আর রেজিস্টার  ও  জয়েন্ট  স্টক  কম্পানিজ থেকে ২০১৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ১০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে কম্পানিটি গঠন  করা  হয়। বাংলা ট্র্যাকের পক্ষে প্রতিনিধি হিসেবে মোহাম্মদ আমিনুল হক (৫১০০ শেয়ার) এবং অ্যাকর্ন ইনফ্রাস্ট্রাকচার সার্ভিসেস ও বাংলা ট্র্যাক কমিউনিকেশনের প্রতিনিধি হিসেবে তারেক ইকরামুল হককে (৪৯০০  শেয়ার) পরিচালক মনোনীত করা হয়। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানেরও এমডির দায়িত্বে আছেন ইকরামুল হক।

জানা যায়, ক্যাটার পিলারের প্রস্তুতকৃত ১৫৪ সেট ডিজেল জেনারেটর আমদানির জন্য ২০১৭ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ে দুবাইয়ের দাউদ মেশিনারিজের অনুকূলে সিন্ডিকেশন ঋণের আওতায় দেশের একটি বেসরকারি ব্যাংকের নেতৃত্বে ১১৮.৬৫ মিলিয়ন ডলারের (এক হাজার আট কোটি ৫০ লাখ টাকা) ২২টি ঋণপত্র খোলা হয়। তবে পণ্য সরবরাহ করা হয় সিঙ্গাপুরের শ্যামল ম্যাশিনারিজ ট্রেডিং পিটিই থেকে। এ প্রতিষ্ঠান দুটির মালিক আমিনুল হকের আরেক ছেলে নাজিম আসাদুল হক। বিএফআইইউ বলেছে, ‘নাজিম আসাদুল হক দুবাই ও সিঙ্গাপুরে নামসর্বস্ব কম্পানি খুলে তাঁরই পিতা ও ভাইয়ের মালিকানাধীন বাংলাদেশি কম্পানিগুলোর সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রমের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন।’

প্রশ্নের জবাবে, দুদকের মানি লন্ডারিং শাখার মহাপরিচালক আ ন ম আল ফিরোজ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিএফআইইউর প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমরা অনুসন্ধান শুরু করেছি। আপাতত এর বেশি বলতে চাচ্ছি না।’ সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (ফিন্যানশিয়াল ক্রাইম) মোস্তফা কামাল বলেন, ‘শিগগিরই অনুসন্ধান শুরু হবে।’

বৈদেশিক বিনিময় রেগুলেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকারের অনুমোদন ছাড়া দেশের বাইরে অর্থ ও বিনিয়োগ স্থানান্তর করা যাবে না। আর মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী বৈধভাবে উপার্জিত  অর্থও  নিয়ম-বহির্ভূতভাবে  বিদেশে  প্রেরণ  করা মানি লন্ডারিং বা পাচার হিসেবে পরিগণিত। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, দুবাইয়ে দাউদ ম্যাশিনারিজ ও সিঙ্গাপুরে শ্যামল ম্যাশিনারিজ খুলতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আরো আগেই সজাগ হওয়া দরকার ছিল।’ তিনি বলেন, ‘পানামা পেপার্সে অনেকেরই নাম এসেছিল। বিভিন্ন সময় সেকেন্ড হোম ও বেগমপাড়া নিয়েও কথাবার্তা হচ্ছে। অর্থাৎ সর্বজনবিদিত অর্থপাচার হয়েছে। এটা রোধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে। অর্থপাচার বিষয়গুলো দেখার জন্য দুদকে একটা বিশেষ সেল গঠন করা যেতে পারে।’

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজম্যান্টের (বিআইবিএমের) সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পানামা পেপার্সসহ বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে যাদের নাম এসেছিল, তাদের ক্ষেত্রে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিন্তু ত্বরিত ব্যবস্থা নিলে অর্থপাচার প্রতিরোধ করা অনেকটাই সম্ভব হতো।’

পারিবারিক যোগসাজশ : বাংলা ট্র্যাকের মালিকদের বৈদেশিক বাণিজের  আড়ালে  অর্থ পাচারের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তা যাচাই করার জন্য দুবাই ও সিঙ্গপুরের কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বিএফআইইউ। এতে দেখা যায়, দাউদ মেশিনারিজ ও শ্যামল মেশিনারিজ নামের প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক আমিনুল হকের আরেক ছেলে নাজিম আসাদুল হক। ফলে পারিবারিক যোগসাজশের বিষয়টি স্পষ্ট। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যাটার পিলার একমাত্র সরবরাহকারী  প্রতিষ্ঠান  হলেও তাদের প্রস্তুতকৃত যন্ত্রপাতি  সরাসরি  তাদের  কাছ থেকে আমদানি করা হয়নি। সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে কম্পানি খুলে তাদের মাধ্যমে পুরনো যন্ত্রপাতি আমদানি করে মূলত প্রাইস মিস-ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার করা হয়েছে।

পুরনো যন্ত্রপাতি আমদানি : পিডিবির সঙ্গে চুক্তিতে নতুন যন্ত্রপাতি অথবা রেন্টাল ফ্লিট আমদানির কথা উল্লেখ করা হয়। বিএফআইইউ জানায়, নতুন মেশিনারিজের দাম ও পুরনো মেশিনারিজের দাম এক হওয়ার কথা না। তা ছাড়া পুরনো মেশিনারিজের মূল্য যাচাইয়ের কোনো ব্যবস্থাও নেই। আবার ঘোষণা দিয়ে পুরনো মেশিনারিজ আমদানি করা হলেও এখানে অর্থপাচারের বিষয়টি স্পষ্ট। কারণ নিজেদের প্রতিষ্ঠান থেকে ওই যন্ত্রপাতি সরবরাহ করায় মূল্য বেশি দেখানোই স্বাভাবিক। ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘পুরনো যন্ত্রপাতির প্রকৃত মূল্য ঠিক করা মুশকিল। আর ওই সুযোগে এখানে আন্ডার প্রাইসিং হয় এবং ফান্ডগুলো ট্রান্সফার করা হয়।’

ঋণপত্রের দায় শোধে গরিমসি : ৩৬০ দিনের বিলম্বে পরিশোধের শর্তে ঋণপত্রগুলো খোলা হয়। এ সময়ের মধ্যে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণপত্রের দায় বাবদ ৫০.২৩ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ টাকা পরিশোধ করার কথা। কিন্তু তা যথাসময়ে পরিশোধ করেনি। উল্টো বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে আমদানি  দায়  পরিশোধের  জন্য  প্রথম  দফায়  ৩৬০  দিন,  ২য়  দফায়  ১৮০  দিন,  তৃতীয়  দফায়  আরো  ১৮০  দিন  সময়  বর্ধিত করে নেয়। এ অতিরিক্ত সময়ের জন্য সুদ বাবদও অতিরিক্ত অর্থ দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে।

লিড অ্যারেঞ্জার ব্যাংকের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ : আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান দেশের ব্যাংকগুলোর ঋণ পরিশোধ না করলেও পণ্য সরবরাহকারী তথা বেনিফিশিয়ারির সিঙ্গাপুুরের ব্যাংক  হিসাবে  যথাসময়ে  আমদানির  দায় ঠিকই পরিশোধ করেছে। অর্থাৎ আমদানি  বাণিজ্যের  আড়ালে  পুরনো বৈদ্যুতিক  যন্ত্রপাতি বাংলাদেশে আমদানি মূল্য বাবদ ৫০.২৩ মিলিয়ন ডলার সরবরাহকারী শ্যামল ম্যাশিনারিজের সিঙ্গাপুরের ব্যাংক হিসাব স্থানান্তরিত হয়েছে। বিএফআইইউ বলছে, ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান বাংলা ট্র্যাক পাওয়ার ইউনিট কর্তৃক ঋণপত্রের দায় পরিশোধ করা না হলে তা শেষ পর্যন্ত লিড অ্যারেঞ্জার ব্যাংকের ওপরই বর্তাবে। তার পরও ওই ব্যাংক তার পরিশোধিত মূলধনের (ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন ১০১৬.৩৯  কোটি  টাকা)  প্রায় শত ভাগ ঋণ  ঝুঁকি নিয়েছে, যা  রহস্যজনক।

ঋণের দায় শোধে বিদেশি ব্যাংক থেকে ঋণ : বাংলা ট্র্যাক পাওয়ার ইউনিট-১ প্রকল্পের জন্য আগের নেওয়া ঋণের দায় শোধ করতে আরব আমিরাতের মাশরেক ব্যাংক থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই  ঋণের করপোরেট গ্যারান্টি হিসেবে বাংলা  ট্র্যাক  এবং  গ্রুপ  চেয়ারম্যান ইকরামুল  হকের  পার্সোন্যাল  গ্যারান্টির উল্লেখ  রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানা যায়, মাশরেক ব্যাংক থেকে এখনো ঋণ পায়নি প্রতিষ্ঠানটি। কারণ এর বিপরীতে স্ট্যান্ডবাই (এসবি) এলসি যেটা ইস্যু করার কথা, সেটার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এখন পর্যন্ত শুধু ২৫ মিলিয়ন ডলারের অনুমোদন মিলেছে।

সিন্ডিকেশন অর্থায়নে অপারগতা প্রকাশ করে ২৩ ব্যাংক : প্রতিষ্ঠানটিকে অর্থায়নের জন্য দেশের সরকারি-বেসরকারি ২৮টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল লিড অ্যারেঞ্জার ব্যাংকটি। কিন্তু প্রাথমিক যাচাইয়ে-ই গ্রুপটির অনুকূলে বিভিন্ন ব্যাংকের এক হাজার ৭২৬ কোটি টাকার বেশি ওভারডিউ ঋণ ও বেশ কিছু খেলাপিঋণ আদালতে স্টে-অর্ডার নিয়ে নিয়মিত দেখানোয় ২২টির মতো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিন্ডিকেশনে অংশ নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। তার পরও লিড অ্যারেঞ্জার ব্যাংকের উদ্যোগে একটি সরকারিসহ পাঁচটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিন্ডিকেশনে অংশ নিতে সম্মত হয়। তবে মাঝখানে অনিয়ম টের পেয়ে ঋণ দেওয়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েও সরকারি ব্যাংকটি বের হয়ে যায়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, যে ৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ বাইরের দেশ থেকে নেওয়ার কথা, সেই ঋণের জন্য সরকারি ব্যাংকের কাছে এসবি ক্রেডিট চাওয়া হয়েছিল। তখন সরকারি ব্যাংকটি কাগজপত্র যাচাই করে দেখতে পায় এখানে এরই মধ্যে অনেক অনিয়ম হয়েছে। যে মেশিনারিজ আমদানির কথা, সেটা আমদানি হয়নি। পাওয়ার প্ল্যান্ট উৎপাদনে চলে এলেও ব্যাংকের টাকা শোধ করেনি। আবার গ্রুপটির চেয়ারম্যান আমিনুল হক একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান থাকাকালে নামে-বেনামে ৯০০ কোটি টাকার মতো ঋণ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ঝুঁকিতে ফেলেন। গ্রুপটির অনুকূলে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দেওয়া প্রায় পাঁচ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে এক হাজার ৭২৬ কোটি টাকা ওভারডিউ হয়ে পড়েছে। খেলাপিতে পরিণত হওয়া বেশ কিছু ঋণ আদালতের স্টে-অর্ডার নিয়ে নিয়মিত হিসেবে প্রদর্শন করা হচ্ছে।

পানামা পেপার্সেও তাঁদের নাম : ২০১৬ সালের মে মাসে ফাঁস হওয়া পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারিতে বাংলাদেশের ৩২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম আসে। এতে বাংলা ট্র্যাক, মালিক আমিনুল হক ও তাঁর দুই ছেলের নাম স্থান পায়।

বাংলা ট্র্যাকের বক্তব্য : অভিযোগ সম্পর্কে জানতে প্রতিষ্ঠানটির বনানীর করপোরেট অফিসে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, চেয়ারম্যান ও এমডি ইকরামুল করোনাভাইরাসের শুরুতেই দেশের বাইরে গিয়েছেন। প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আমিনুলও চিকিৎসা নিতে দেশের বাইরে আছেন। পরে গ্রুপের পক্ষে মিডিয়া দেখার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান বেঞ্চমার্ক পিআর থেকে একটি বক্তব্য পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, ‘পাওয়ার প্ল্যান্টে ব্যবহৃত ইঞ্জিন এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশের ব্যবহারে প্রতিষ্ঠানটি স্বচ্ছতা এবং নৈতিকতা বজায় রেখেছে। তাই ব্যবহৃত ইঞ্জিনের ধরন, এর মূল্য, ক্রয় উৎস এবং আমদানি প্রক্রিয়ার ওপর প্রশ্ন করার কোনো সুযোগ নেই।’

উৎসঃ কালের কণ্ঠ

এমন আরো সংবাদ

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন !
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ সংবাদ