অবসরে ছবি আঁকে ক্রিস্টিনা। পড়ে ইউনিভার্সিটি অব অটোয়ায়। বিষয় পলিটিক্যাল সায়েন্স এন্ড পাবলিক আ্যাডমিনিস্ট্রেশান। ভবিষ্যতে রাজনীতিবিদ হওয়ার শখ। বার্নেডিন হতে চায় আইনজীবী। কায়সন সোশ্যাল ওয়ার্কার, লরেন নার্স আর বাইনাট ডাক্তার। এদের কারো শখ গান করা, বেড়ানো, বাগান করা কিংবা ফেসবুকিং। কেউ পড়ে ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোয়, রায়ারসন, ইয়র্ক বা অন্য কোনো ইউনিভার্সিটিতে। আবার হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরাও আছে অনেকজন এ কাউন্সিলে। বয়স ১৫ থেকে ২০ এর মধ্যেই। এরা সবাই এবছর কানাডিয়ান সেন্টার ফর ইনফরমেশান এন্ড নলেজের ইয়ুথ কাউন্সিলের সদস্য। গত এক সপ্তাহে কানাডিয়ান সেন্টারের ইয়ুথ কাউন্সিলে সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেছিল ৭৪ জন। এদের মধ্য থেকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে ৪১ জনকে। ১৩ আগস্ট, বৃহস্পতিবার প্রথম ওরিয়েন্টেশনে এরা সবাই একত্রিত হয়েছিল অনলাইন জুমে। কানাডিয়ান সেন্টারের কমিউনিটি ওয়ার্কার পুস্পিতা হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ ওরিয়েন্টেশনে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ইমাম উদ্দিন। ইয়ুথ কাউন্সিলের সদস্যরা নিজেদের পরিচয়, শখ অংশগ্রহণের কারন এবং ভবিষ্যত স্বপ্নের কথা জানান। পুস্পিতা হাসান কানাডিয়ান সেন্টারের ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনার বিস্তারিত কাউন্সিল সদস্যদের কাছে তুলে ধরেন। কানাডিয়ান সেন্টারের ইয়ূথ কাউন্সিলের তরুন শিক্ষার্থীরা থাকেন টরন্টো, মিসিসাগা, বাম্পটন, মার্কহাম, এজাক্সসহ ওন্টারিওর বিভিন্ন স্থানে। তবে তিনজন বাদে এই একচল্লিশ সদস্যের বেশিরভাগই বিভিন্ন কমিউনিটির। বাঙালি মাত্র তিনজন। ইয়ূথ কাউন্সিলের সদস্যরা ওরিয়েন্টশনে তাঁদের ভবিষ্যত স্বপ্নের কথা জানান। তারা জানান, শুধু পেশাগত সফলতা নয়, মানুষের জন্য কাজ করা, তাঁদের সহায়তা করা এবং যেকোনো দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানোর স্বপ্নও দেখে বৃহত্তর টরন্টোর এই তরুনরা। উল্লেখ্য, কানাডিয়ান সেন্টার টরন্টোভিত্তিক একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা। ইতোমধ্যে এই সংস্থা সার্ভিস কানাড, কানাডা রেডক্রসসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সাথে সম্মিলিতভাবে কমিউনিটির উন্নয়নে কাজ করছে।