জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা উপলক্ষে কানাডা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান

গত ১৭ই মার্চ রোজ সোমবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা উপলক্ষে কানাডা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জুম ভিডিওর মাধ্যমে এক বার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দলীয় সভাপতি গোলাম মাহমুদ মিয়ার সভাপতিত্বে ও তাজুল ইসলামের সঞ্চালনে সভায় কানাডা আওয়ামী লীগ, অন্টারিও আওয়ামী লীগ, ক্যুইবেক আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ গ্রহণ করেন। বক্তাদের বক্তব্যে ১৫ই আগস্টের সেই কাল রাত্রির প্রেক্ষাপট, উদ্দেশ্য, নৃশংসতা ও বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রাম ও সুযোগ্য নেতৃত্বে পাক হানাদার বাহিনী বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। কিন্তু পরাজিত শক্তি, তাদের এদেশীয় দোসর ও মিত্ররা মেনে নিতে পারেনি এই স্বাধীনতা। তাই সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশর স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার উদ্দেশ্যে তাদের ষড়যন্ত্রে বিশ্বাসঘাতক মোস্তাক, জিয়া, ফারুক গংরা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারে সদস্য সহ ১৮ জনকে হত্যা করে। সন্তান সম্ভবা মা, নব বধূ ও শিশু হত্যার মত জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খুনের নেপথ্য নায়ক জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ পাশ করে খুনিদের রক্ষাই নয় বরং পুরস্কৃত করে। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও স্বাধীনতার চেতনাকে বিসর্জন দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের উত্থান ঘটিয়ে পাকি ভাবধারায় দেশ পরিচালিত হতে থাকে। রাষ্ট্রীয়ভাবে উচ্চারিত হতনা বঙ্গবন্ধুর নাম। বাঙ্গালী জাতির দীর্ঘ গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামের ইতিহাসকে আড়াল করে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালিয়ে তার নাম মুছে ফেলার প্রয়াস চলতে থাকে। কিন্তু দীর্ঘ ২১ বৎসরের প্রচেষ্টায়ও বাঙ্গালী জাতির হৃদয় থেকে মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি জনকের নাম। বরং তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় অধিষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারে ঘাতকদের দন্ড কার্যকর হয়েছে। প্রবাসে পালিয়ে থাকা ঘাতকদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টাও চলছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের কুশীলবদের অনেকেই বিচার প্রক্রিয়া সূচনা হওয়ার পূর্বেই মৃত্যুবরণ করায় তাদের বিচারের সম্মুখীন করা যায়নি। বক্তাদের অনেকের বক্তব্যে এদের মরণোত্তর বিচার করার দাবী উঠে, বিশেষ করে খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবীটি প্রাধান্য পায়। পরিশেষে সকলে মিলে দোয়া পাঠান্তরে, কানাডা আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম বশির উদ্দিন আহমেদের পরিচালনায় মোনাজাতে অংশ গ্রহণ করেন। মোনাজাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার সহ ১৫ই আগস্টের সকল শহীদ ও ২১ আগস্টের বোমা হামলায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদের মিলু, আব্দুস সালাম, কানাডা আওয়ামী লীগের এডভোকেট আলী আহমেদ, শেখ জসিম উদ্দীন, নিরু চাকলাদার, গোলাম মহিবুর রহমান, মঞ্জুরুল হাসান চৌধুরী, ইমরুল ইসলাম, মোরশেদ আহমেদ মুক্তা, তোফাজ্জল আলী, আব্দুল মান্নান, অপু ধর, মোঃ হামিদ, ঝুটন তরফদার, এডভোকেট কামরুল ইসলাম, সুকৌমল রায়, অন্টারিও আওয়ামী লীগের মোস্তফা কামাল, মাসুদ আলী লিটন, নওশের আলি, গোলাম সরওয়ার, এডভোকেট রাধিকা রঞ্জন চৌধুরী, বিপ্লব চৌধুরী, ক্যুইবেক আওয়ামী লীগের শহীদ রহমান, গোলাম মোতাহির মিয়া ও ছাত্র লীগের ওবায়দুর রহমান।

এমন আরো সংবাদ

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন !
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ সংবাদ