মেজর সিনহাকে গুলির পরপর লিয়াকত জানান ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে। ওসি, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদকে জানান, লিয়াকতকে গুলি করার পরে লিয়াকত গুলি করেছে তারই নির্দেশে।
যদিও পরিদর্শক লিয়াকত কক্সবাজারের এসপিকে ফোন দিয়ে জানান, পিস্তল তাক করার পরই তিনি গুলি করেছেন। কিন্তু কারো কথায়ই মাদকের কোন বিষয় ছিলো না। পুলিশের এজাহারে চারটি গুলির কথা থাকলেও, সুরতহালে মেলে ছয়টি গুলির চিহ্ন। বাকি দুটি গুলি কে করলো সেই উত্তর এখনো মেলেনি। ৩১ জুলাই রাতে, ঘটনাস্থলের কিছু ফোনালাপ এসেছে গণমাধ্যমের হাতে হাতে।
রাতে গুলি করার পর লিয়াকত ফোন দেন ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে। তারপরই ওসি প্রদীপ কুমার ফোন দেন এসপি মাসুদকে।
প্রদীপ: আদাব, স্যার
এসপি মাসুদ: কি আপনি এমন কি হইছে, বলেন
প্রদীপ: স্যার, লিয়াকতরে গুলি করছে নাকি স্যার, আমি যাচ্ছি ওখানে,
মাসুদ: কে?
প্রদীপ: ঐ যে স্যার লিয়াকত স্যার ইয়াতে, চেকপোস্টে একটা গাড়িতে সিগন্যাল দিছে, সিগন্যাল দেয়ার পরে গাড়ি থেকে তাকে পিস্তল দিয়ে গুলি করছে, ঐ সময় আমি তাকে বললাম, ঠিক আছে তুমিও তাড়াতাড়ি ওকে গুলি করো। সেও নাকি গুলি করছে স্যার। আমি যাচ্ছি স্যার ওখানে, স্যার..।
মাসুদ: যান যান।
এর রাতে ইন্সপেক্টর লিয়াকত ফোন দেন এসপি মাসুদকে।
মাসুদ: হ্যালো
লিয়াকত: আসসালামু আলাইকুম স্যার, স্যার।
মাসুদ: বলো
লিয়াকত: এখানে একটা প্রাইভেটকার আছে স্যার, ঢাকা মেট্রো লেখা। আর্মির পোশাকটোশাক পড়া। সে ঐ বোরখা খুলে ফেলছে। পরে যখন তাকে চার্জ করছি, সে মেজর পরিচয় দিয়ে গাড়িতে চলে যেতে চাইছিলো। পরে অস্ত্র তাক করছিলো, আমি গুলি করছি স্যার। একজন ডাউন করছি, আরেকজন ধরে ফেলছি স্যার। স্যার আমি কি করবো স্যার? আমাকে পিস্তুল তাক করছে, পিস্তল পাইছি তো স্যার।
মাসুদ: আচ্ছা ঠিক আছে, তোমারে গুলি করছে? তোমার গায়ে লাগে নাই, তুমি যেটা করছো সেটা লাগছে।
লিয়াকত: রাইট স্যার
মাসুদ: হ্যা