দেশের বিভিন্ন জেলায় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, ইউএনওসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। বাদ যাচ্ছেন না মন্ত্রী, এমপিসহ জনপ্রতিনিধিরা। কোভিড মহামারি ঠেকাতে মাঠ পর্যায়ে লকডাউন বাস্তবায়ন, স্বাস্থ্যবিধি মানানোসহ সামনের সারিতে থেকে কাজ করছেন জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জেলার উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকের পরিবারের সদস্যরাও আক্রান্ত হয়েছেন।
গাজীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। জামালপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
কোভিডে আক্রান্ত গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা চেয়ারম্যান, চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারমান নুর হোসেন পাটোয়ারী ও ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা চেয়ারম্যান। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভার মেয়র শামীমুল ইসলাম ছানার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেগম আছিয়া খাতুন ((এবং বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা)) করোনায় আক্রান্ত।
এছাড়া, চট্টগ্রামের বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার ভূমি সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত। সন্তানসহ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনা শনাক্ত হয়েছে ভোলা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার। কিশোরগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-এক এর বিচারক কিরণ শংকর হালদারও করোনায় আক্রান্ত।
ফেনী জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সপরিবারে আক্রান্ত হয়েছেন যশোরের আড়াইশো শয্যা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার দিলিপ কুমার রায়। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রিয়াজুল ইসলাম, পাবনা সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং নওগাঁ জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জনও আক্রান্ত।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমানের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলামও করোনায় আক্রান্ত। আক্রান্ত হয়েছেন বরিশাল মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কুমিল্লার তিতাস ও বাঙ্গুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। কিশোরগঞ্জের ভৈরবের র্যাব এর অধিরনায়ক আক্রান্ত হয়েছেন নভেল করোনা ভাইরাসে।