করোনায় আক্রান্ত ছেলেকে রাতের আঁধারে বাঁশবাগানে ফেলে দিলেন বাবা-মা

ভোরের আলো ডেষ্ক: করোনার কাছে মাতৃত্বের টান, স্নেহ, বন্ধন সব হার মেনে যাচ্ছে। আসলে করোনার কাছে সবাই খুব অসহায় হয়ে পড়েছে। মানুষ খুব ভীত হয়ে পড়ছে। এজন্যই পিতা, মাতা, স্ত্রী, সন্তান, ভাই, বোন করোনায় কাছে নিষ্ঠুর হয়ে উঠেছে কারো ক্ষেত্রে। সবার ক্ষেত্রে এমন না হলেও কেউ কেউ নিষ্ঠুর আচরণ করছেন।

আবার না জানার ফলে, অজ্ঞতার দরুনও করছে এমন অমানবিক কাজ। অনেকে গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছে না। অনেক জায়গায় ডাক্তার সেবা দিচ্ছে না। অনেকে রাস্তায় জঙ্গলে, হাসপাতালের বারান্দায় রেখেই পালিয়ে যাচ্ছে। আসলে সবাই বেঁচে থাকতে চাইছে যেকোনো উপায়ে।

এতদিন শোনা সন্তান বাবা মাকে রেখে পালিয়ে গেছে। এবার মা বাবা সন্তানকে রাতের অন্ধকারে বাঁশ বাগানে ফেলে গেছে। এমনই একটি ঘটনা ফেসবুক থেকে পাওয়া। ফেসবুকে ঘটনাটির বিবরণ এমন-

ক‌রোনায় নির্মমতা! এবার জন্মদাতা মা বাবা করোনায় আক্রান্ত সন্তানকে কিছু টাকা ,পানি এবং পাউরুটি দিয়ে রাতের অন্ধকারে ফেলে গেলেন বাঁশঝাড়ে। প্রতিদিনের মতোই ফজরের সালাত শেষ করে হাঁটছিলেন এক বিদুষী বৃদ্ধ মা।
হঠাৎ দূরে কাপড় মোড়ানো কি একটা যেন তার দৃষ্টিগোচর হল। দেখতে পেলেন একজন কিশোর মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে। উনি প্রতিবেশীদের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করলো।

প্রশাসনের তড়িৎ হস্তক্ষেপে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সহযোগিতায় দ্রুত এম্বুলেন্স এনে ১৪ বছরের এই বালককে নেওয়া হয় কাশিয়ানী হাসপাতালে। তার সাথে কথা বলে জানা যায় যে তার নাম রাকিব, পিতার নাম – কাওসার শেখ, গ্রাম- মল্লিকপুর, উপজেলা- লোহাগড়া। তার জন্মদাতা মা-বাবা গভীর রাতে তাকে এ বাঁশঝাড়ে রেখে যায়।ছেলেটি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আমরা ছেলেটির আশু রোগ মুক্তি কামনা করছি। আল্লাহ তুমি ছেলেটিকে দ্রুত করোনা মুক্ত করে দাও এবং তাকে নেক হায়াত দান করুন। ছেলেটিকে উদ্ধার কাজে সহযোগীতা প্রদানকারী সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক মোবারকবাদ।

ক‌রোনা সম্পর্কিত সকল কুসংস্কার থে‌কে আমা‌দের বের হ‌য়ে আস‌তে হ‌বে। ডাক্তা‌রের পরাম‌র্শে ঘ‌রে ব‌সে ক‌রোনার প্রাথ‌মিক চি‌কিৎসা প্রদান সম্ভব, এ বিষ‌য়ে গ্রা‌মে গ‌ঞ্জে ব্যাপক প্রচ‌ারণা চালা‌নো জরুরি।

করোনা সম্পর্কে সঠিক তথ্যের অভাবে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কথা আমাদের শুনতে হচ্ছে। সবাইকে সঠিক তথ্য দিয়ে আমরা সবাইকে সচেতন করব। এমন ঘটনা যেন না ঘটে সেটাই প্রত্যাশা।

এমন আরো সংবাদ

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন !
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ সংবাদ