এক ঘন্টারও কম সময়ে ফলাফল পা্ওয়া সম্ভব এমন ক্ষমতা সম্পন্ন কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস পরীক্ষার নতুন কিট হেলথ কানাডার অনুমোদন পেয়েছে।
অটোয়া ভিত্তিক ‘স্পার্টান বায়োসাইন্স’ এর তৈরি করা নতুন এই কিটটি আগামী কাল সোমবার (১৩ এপ্রিল থেকে) ফেডারেল সরকারের কাছে পাঠানো শুরু হবে বলে গ্লোব অ্যান্ড মেইলকে জানিয়েছেন কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পল লিম।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে পলিমেরাস চেইন রিএকশন মেশিনের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর পরীক্ষা হচ্ছে। হাসপাতাল বা ল্যাবরেটরির বাইরে বৃহদাকৃতির এই পরীক্ষা পদ্ধতি ব্যবহারের সুযোগ নাই। ফলে অন্টারিওসহ বিভিন্ন প্রভিন্স প্রয়োজনমতো কোভিড-১৯ এর পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।
নতুন এই কিট এর মাধ্যমে হাসপাতাল বা ল্যাবে নমুনা না পাঠিয়ে মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর পরীক্ষা করা যাবে। ফলে বড় শহরের বাইরে প্রত্যন্ত এলাকায় ব্যবহারের জন্য এটি অত্যন্ত উপযোগি।
কোম্পানির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে,বিশ্বের ক্ষুদ্রতম ডিএনএ এনলাইজার ‘দ্যা স্পার্টান কিউব’ এর মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের টেষ্ট করা হবে। বিমানবন্দর, সীমান্ত এলাকাসহ যে কোনো স্থানেই এটি বহন করে নিয়ে সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে নাগরিকদের করোনা ভাইরাস টেস্ট করা যাবে।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, ফেডারেল সরকারের বাইরে অন্টারিও. কুইবেক এবং আলবার্টা প্রভিন্সিয়াল সরকার এই কিট সংগ্রহের জন্য কোম্পানির সঙ্গে আানুষ্ঠানিক চুক্তি করেছে। অন্যান্য প্রভিন্সও এই কীট সংগ্রহের জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকেও এই কিট সংগ্রহের জন্য এই কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করেছে। তবে কোম্পানিটি বলেছে,কানাডার অভ্যন্তরীন চাহিদা পূরণের পরই তারা অন্য কোনো দেশের অনুরোধ বিবেচনায় নেবে।
কোম্পানিটি জানিয়েছে,আগামী এক মাসের মধ্যে কোম্পানির কিটের মাধ্যমে সপ্তাহে ১০ হাজার পরীক্ষা করতে পারবে। আগামী ২ মাসে ২০০ হাজার এবং তিন মাসে ৩০০ হাজার ব্যক্তির পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ মার্চ ফেডারেল সরকার কোভিড-১৯ এর টেস্টিং কিট এর উৎপাদনের জন্য কোম্পানিটিকে ৭৪ মিলিয়ন ডলারের তহবিল দেয়। এরই মধ্যে কোম্পানিটি তাদের নতুন রেপিড টেস্টিং ডিভাইস নিয়ে হাজির হয়।
সৌজন্যে : নতুনদেশ ডটকম