বাংলাদেশের জাতীয় নেতা, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ডেপুটি মেয়র এবং ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুস সালাম মামলা করে ৬ লাখ ডলার পেয়েছেন। আমেরিকা আইনের দেশ। সুযোগ পেলেই যে কেউ মামলা করতে পারে। সেই সুযোগই গ্রহণ করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মোহাম্মদ আব্দুস সালাম।
জানা গেছে, মোহাম্মদ আব্দুস সালাম ২০১৬ সালে বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকা চার্চ ম্যাকডোনাল্ডে গিয়েছিলেন। ঐ সময় ৪৩৮ ম্যাকডোনাল্ড এভিনিউর এক বাসার বেইসমেন্টে বিকেলে ঢুকার সময় তিনি সিঁড়ি থেকে পড়ে যান। পড়ে গিয়ে তার পা ভেঙ্গে যায়। তাকে সাথে সাথেই ভর্তি করা হয় ব্রুকলীনের ম্যাথাডিস্ট হাসপাতালে। বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থানরত আব্দুস সালাম ঠিকানাকে জানান, হাসপাতালে তিনি ঐ সময় দুই সপ্তাহ ছিলেন। যদিও পরে আরো ২/৩ বার হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
ঠিকানার এক প্রশ্নের জবাবে সালাম জানান, ঐ সময় আমার পায়ের দুটো হাড় সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায়। এখনো আমার পা পুরোপুরি ঠিক হয়নি। সিঁড়ি দিয়ে পড়ে আহত হবার পর আমেরিকার গ্রীনকার্ডধারী মোহাম্মদ আব্দুস সালাম ৪৩৮ বাড়ির এর মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার মামলাটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশী কম্যুনিটিতে অত্যন্ত পরিচিত এটর্নী প্যারি ডি সিলভা। এটর্নী প্যারি ডি সিলভা ঠিকানাকে বলেন, আমরা এই মামলা পরিচালনা করি প্রায় তিন বছরের মত। অবশেষে সমঝোতার মাধ্যমে আমরা এই মামলার নিষ্পত্তি করি। সমঝোতা করা হয় ৬ লাখ ডলারে। প্রায় এক মাস আগে মামলাটি সমঝোতার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করলেও মামলার চেক পাই আমরা ২ অক্টোবর। মামলার চেকটি পাওয়ার পর আমরা তা বাদী আব্দুস সালামের হাতে তুলে দিই। তিনি আমাদের ম্যানহাটানে এসে চেকটি গ্রহণ করেন। এ সময় আমি ছাড়াও আমার পাটর্নার এটর্নী লেসলি ক্যালমেচার উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে আব্দুস সালাম জানান, আমি ইতিমধ্যেই চেক গ্রহণ করেছি। জানা গেছে, ঐ বাড়ির মালিক ছিলেন একজন বাংলাদেশী। তিনি আব্দুস সালামকে নতুন বাড়ি দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। বাড়ি দেখানোর সময়ই বেইসমেন্টে নামার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আব্দুস সালাম বাংলাদেশের জাতীয় নেতা এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হলেও অনেক জাতীয় নেতার মত তিনি আমেরিকার গ্রীনকার্ড হোল্ডার। তিনি আমেরিকা এবং বাংলাদেশে বসবাস করেন। বর্তমানে স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যাকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস করছেন। অন্যদিকে এটর্নী প্যারি ডি সিলভা বাংলাদেশীদের মধ্যে অত্যন্ত পরিচিত। তিনি বাংলাদেশীদের পক্ষে বহু মামলা পরিচালনা করে জয়লাভ করেন। বিশেষ করে এক্সসিডিন্ট কেইসে এটর্নী প্যারি ডি সিলভার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।