মম কাজী: “দেশের বাইরে আরেকটি ক্ষুদে বাংলাদেশ”- এই মনোভাব নিয়েই সৃষ্টি “সম্মিলিত বাংলা মেলা”। যেখানে পরবাসে দ্বিতীয় বাংলাদেশী সাংস্কৃতিক রাজধানী নামে পরিচিত বৃহত্তর টরন্টো শহরে বসবাসকৃত বঙ্গভাষী কমিউনিটির সদস্যরা তাদের নিজেদের ভেদাভেদ ভুলে একমাত্র “বাঙালী” পরিচয়ে পরিচিত হয়ে একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বড় কিছু করার তাগিদে মিলিত হয়ে গড়ে তুলেছিলেন একটি সম্মিলিত দল। আর তাঁদের ব্যাপক সাফল্যের প্রতীক হিসেবে গত পহেলা সেপ্টেম্বর তৃতীয়বারের মত বৃষ্টিবিঘ্নিত দিন উপেক্ষা করে বহু মানুষের সমাগমের মাধ্যমে উদযাপিত হয় “তৃতীয় সম্মিলিত বাংলা মেলা”।
এত বিশালাকারে একটি কাজ সম্পন্ন করার জন্য যে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী দলের প্রতিটি সদস্যের কতখানি পরিশ্রমের প্রয়োজন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর তাই বিগত ৫ ই অক্টোবর মেলার সাথে জড়িত সকল মানুষ যেমন কার্যকরী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, সেচ্ছাসেবক, শিল্পী, উপস্থাপক, স্পন্সর, শুভাকাঙ্খী, প্রচারকাজে কাজ করা সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করার উদ্দেশ্যে এবং পরবর্তী বাংলা মেলার একটি খসড়া দল তৈরী করার প্রয়াসে শহরের বিখ্যাত “বাদশাহ গ্রীল” রেষ্টুরেন্টে একটি বৃহৎ নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। মেলার সাথে যুক্ত প্রায় সকলেই এখানে উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁদের মূল্যবান ধন্যবাদ, মতবিনিময় ও উপদেশ দিয়ে অনুষ্ঠানটিকে সফলতার রূপ দেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় ছিলেন মাহবুব চৌধুরী রনি এবং তার সাথে ছিলেন মম কাজী। যারা বক্তব্য রাখেন তাদের মাঝে উল্লেখযোগ্য ছিলেন কনভেনর আখলাক হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. জসীম উদ্দিন আহমদ, রেশাদ চৌধুরী, মাহবুব রব চৌধুরী, আহাদ খন্দকার, জাকারিয়া রশীদ চৌধুরী, নাজমা হক, জাকির খান, মালিহা মনসুর, আলমগীর মোহাম্মদ, আসাদ আহাদ, এস তপন মাহমুদ, আসমা হক, হাবিবুর রহমান চৌধুরী মারুফ, মকবুল হোসেন মঞ্জু, মনছুর আহমেদ, আমিনুর রশীদ চৌধুরী বাবু, হোসেন আহমেদ লনি, ইলিয়াস খান প্রমুখ। তারা সকলেই নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গীর থেকে তাদের বক্তব্য প্রদান করেন। আরিফ আহমেদ নিজে উপস্থিত থাকতে না পারলেও তাঁর বক্তব্য লিখে পাঠিয়ে দেন।
এছাড়াও মেলায় পরিবেশন করা শিল্পীরা ও উপস্থাপকরা উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের অসামান্য অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন সবার সাথে। স্পন্সর ও শুভানুধ্যায়ীগনও তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সকলের বক্তব্য প্রদানের শেষে মেলায় অসামান্য অবদান রাখার জন্য প্রায় দশজনকে সিটি অব টরন্টোর থেকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। সার্টিফিকেটণ্ডলি প্রদান করেন জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর জনাব ড. জসীম উদ্দিন আহমেদ, মেলার কনভেনর আখলাক হোসেন ও চেয়ার পার্সন নাজমা হক। তাদের সাথে বরাবরের মতই ছিলেন রেশাদ চৌধুরী ও আহাদ খন্দকার।
সকল বক্তব্যের পরে নৈশভোজ প্রদান করা হয়। অত্যন্ত সুস্বাদু ও উপাদেয় এই খাবারের পরিবেশনা রেস্টুরেন্টের কর্মীদের সাথে সাথে সম্মিলিত বাংলা মেলার সেচ্ছাসেবকরাও হাত লাগান। পেট ভরে মুখরোচক খাবারের পরে সকলে মিলে আনন্দের সাথে ছবি তুলে সবার সাথে হাত মিলিয়ে পরবর্তী সফল বাংলা মেলার স্বপ্ন চোখে নিয়ে সমাপ্তি ঘোষনা করেন।