শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করায় প্রেমিকের লিঙ্গ কেটে নিয়েছেন এক যুবতী। এ ঘটনায় গত বুধবার বিকেলে আর্জেন্টিনার একটি আদালত ওই যুবতীকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ওই যুবতীর নাম ব্রেন্ডিয়া বারাটিনি (২৮)। আর ভুক্তভোগী ওই প্রেমিকের নাম সার্জিও ফার্নান্দেজ। ২০১৭ সালে ঘুমন্ত অবস্থায় তার ওপর এই হামলা চালানো হয়। এ সময় তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাগানের গাছ কাটার কাঁচি দিয়ে প্রেমিকের লিঙ্গের প্রায় ৯০ শতাংশ কেটে ফেলেন ব্রেন্ডিয়া। তিনি হামলার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তাকে হত্যার কোনো পরিকল্পনা ছিল না বলেও জানান তিনি।
কিন্তু আর্জেন্টিনার কোরডোবা শহরের আদালত ফার্নান্দেজকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ব্রেন্ডিয়া বারাটিনিকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। নিজের দোষ স্বীকার করে তিনি জানান, ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর এ হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু তাকে হত্যার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। ব্রেন্ডিয়া বারাটিনি আদালতে বলেন, তাদের দুজনের শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ও কিছু ছবি ফার্নান্দেজ তার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ফার্নান্দেজের ক্ষতি করার পরিকল্পনা করেন তিনি। ওই যুবতী আরও বলেন, তার সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করা হতো। এ ছাড়া তাকে যৌন বস্তুতে পরিণত করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ব্রেন্ডিয়া বলেন, ‘সে আমার গোপনীয়তা, জীবন এবং ক্যারিয়ার বাধাগ্রস্ত করেছে। সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে।‘ এই আক্রমণের পর আট দিন কোমায় ছিলেন ফার্নান্দেজ। তিনি বলেন, তার লিঙ্গ এখন আলাদা। তিনি সর্বদা আতঙ্কিত থাকেন ও অনিদ্রার ভুগছেন। তবে আদালতের এই রায়ে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন ব্রেন্ডিয়ার আইনজীবী। লুকাস ডি ওলমোস নামে ওই আইনজীবী বলেন, ‘পুরুষাঙ্গের ক্ষতের জন্য হত্যার চেষ্টা করার মামলায় এই দেশে এখন পর্যন্ত কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি।’