স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশেগুলোর বৃহত্তম রাষ্ট্র সুইডেনের একজন খ্রিষ্টান ধর্মযাজক স্কজেটিন (৭৫)। তিনি দেশটির চার্চে পুরোহিত হিসাবে দীর্ঘ ৩০ বছর কাজ করেছেন। তবে ৩ বছর আগে তিনি ইসলাম গ্রহণ করে তার নামটি পরিবর্তন করে রাখেন আহমদ। এখন তিনি ‘আহমদ স্কজেটিন’ হিসেবে পরিচিত।
স্কজেটিন বর্ণবাদ ও ইসলামফোবিয়া মোচনে প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। একবার তিনি ইসলাম সম্পর্ক অধিক জানার জন্য মরক্কো যান এবং সেখানের এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ঘরে তুলেন। যার সঙ্গে নিয়মিত ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন দিক নিয়ে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
স্কজেটিদের ধর্মে তাথা (খ্রিষ্টান ধর্মে) প্রার্থনা করতে হলে গির্জার মধ্যেই প্রার্থনা করেতে হয়। কিন্তু তিনি দেখেলেন ইসলাম ধর্মে সকল জায়গায় আল্লাহর ইবাদত করা যায় এই বিষয়টিই তার হৃদয়ে মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন করে দিলো। তিনি সেখানে ওই যুবকের সঙ্গে নিয়মিত ইসলাম ধর্মের প্রার্থনা করতে থাকলেন এবং একপর্যায়ে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পূর্বে তিনি পুরোহিত হিসেবে যে কাজটি করেছেন তা হলো- তাকে অবশ্যই নিজ ধর্ম পালোনের সাথে সাথে খিষ্ট্রান ধর্ম নিয়ে মানুষকে আগ্রহী করে তোলা।
কিন্তু তিনি যে বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে খিষ্ট্রান ধর্মে বেঁচে নিয়েছেন এবং যে দিকগুলো সামনে রেখে মানুষদের নিজ ধর্মে আগ্রহী করে তুলবেন সে বস্তুগুলো তার কাছে বিশ্বাসের ক্ষেত্রে দুর্বলতা দেখা দেয় এবং এই থেকেই তিনি বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে আরও অধিক জানতে গিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
জানা যায়, তিনি মরোক্ক থেকে ফিরে এসে ইসলাম গ্রহণের বিষয়টি মেনে নিবে না এমন শঙ্কায় তার পূর্বের ধর্মের আপনজনদের কাউকে কিছুই বলেননি তিনি। ইসলাম গ্রহণের পরও কিছু সময় পুরোহিত হিসাবে কাজ চালিয়ে যান তিনি। এরপর এক সময় সুইডেনে তার যা কিছু ছিল তা বিক্রি করে মরক্কোতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তবে এরই মধ্যে সহকর্মীরা তার ইসলাম গ্রহণের বিষয়টি জানতে পেরে তাকে পূনরায় খ্রিষ্টান ধর্ম দাখিল করতে বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে। কিন্তু তিনি ছিলেন ইসলাম সম্পর্কে অটল বিশ্বাসী। সর্বশেষ তাকে এ অজুহাতে পাগল বলেও ঘোষণা করতেও চেয়েছিলেন তার সহকর্মীরা।
ইসলাম সম্পর্কে তার দৃঢ় বিশ্বাসগুলো ছিলে- ইসলাম সত্যিকারে শান্তির ধর্ম, আমাদের একমাত্র সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। তিনি অসংখ্য নবী রাসুল প্রেরণ করেছেন। আর হযরত ইসা (আ.) হচ্ছেন অন্যান্য নবীদের মতো একজন আল্লাহর প্রেরিত নবী। আর হযরত মুহাম্মদ (স.) ছিলেন মানবজাতীর মধ্যে সর্বশেষ নবী ও রাসুল। ইসলামী নৈতিকতা, এক মুসলমার প্রতি অন্য মুসলমানের উদারতা তাকে এ ধর্ম থেকে পৃথক করতে পারেনি।