কেন #MeToo অভিযুক্তর সঙ্গে কাজ করছেন? প্রশ্ন তুলে বলিউড সুপারস্টার আমির খানকে কটাক্ষ করলেন তনুশ্রী দত্ত। এমনকী, #MeToo অভিযুক্তর সঙ্গে কাজ করে আমির যে গত এক বছর ধরে চলা আন্দোলনটাকেই আরো দুর্বল করে দিলেন, এমনটাও বলেন তনুশ্রী।
সালটা ২০১৮। বহুল সমালোচিত প্রজেক্ট গুলশন কুমারের বায়োপিক ‘মোগল’ থেকে অক্টোবর মাসে বেরিয়ে গিয়েছিলেন আমির খান। কারণ, সেই ছবির পরিচালক সুভাষ কাপুর #MeToo অভিযুক্ত। তবে এবার নানা টালবাহানার পর ফের সেই ছবির কাজে ফিরেছেন আমির খান। আর সেখানেই আপত্তি তুলেছেন তনুশ্রী দত্ত। কেন আমির নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেননি, সেই প্রশ্নও তোলেন অভিনেত্রী।
দিন কয়েক আগেই এক সাক্ষাৎকারে আমির খান জানিয়েছিলেন, সুভাষ কাপুরের দোষ এখনো প্রমাণিত নয়। মামলা এখনও চলছে। কিন্তু তিনি যখন জানতে পারেন, ‘মোগল’-এর কাজ থেকে বেরনোর পর সুভাষ আর কোথাও কাজ পাননি, হারিয়েছেন বহু কাজের প্রস্তাব, আমির অপরাধ বোধে ভুগতে থাকেন। এমনকী, ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে মে মাসে আমির একটি চিঠি পান, তাতেও সুভাষের সঙ্গে তার কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আরেকবার পর্যালোচনা করার প্রস্তাব জানানো হয় অভিনেতাকে। সেই জন্যই ‘মোগল’-এ ফিরছেন আমির খান। গুলশন কুমারের বায়োপিকে ভূষণ কুমারের সঙ্গে সহ-প্রযোজনা করবেন আমির এবং তার স্ত্রী কিরণও।
“সমবেদনা কি শুধুই পুরুষদেরই প্রাপ্য? কোনও একজন মহিলা যদি হেনস্তার শিকার হন, ট্রমার মধ্যে দিয়ে দিন কাটান, তখনও বলিউড ইন্ডাস্ট্রির একজনও কি তাঁর চিন্তায় বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছেন?”
আমিরের এই নতুন সিদ্ধান্তেই বেজায় চটেছেন তনুশ্রী দত্ত, যার হাত ধরে বলিউডে প্রথমবারের জন্য #MeToo আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তনুশ্রী বলেন, ”নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে আমির এই #MeToo মুভমেন্টটাকেই দুর্বল করে দিলেন। আমির যদি জীবিকা এবং আয় নিয়ে স্বচ্ছভাবে ভাবতেন তাহলে হয়তো নির্যাতিতা মেয়েটিকে কাজের সুযোগ দিতেন।”
পাশাপাশি তনুশ্রী এও প্রশ্ন তোলেন যে, নির্যাতিতা মেয়েটিকেও হয়তো নানা সামাজিক চাপের সম্মুখীন হতে হয়েছে। সমবেদনা কি শুধুই পুরুষদেরই প্রাপ্য? কোনও একজন মহিলা যদি হেনস্তার শিকার হন, ট্রমার মধ্যে দিয়ে দিন কাটান, তখনও বলিউড ইন্ডাস্ট্রির একজনও কি তার চিন্তায় বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছেন? যদি আপনি অপরাধবোধে ভুগে সুভাষ কাপুরকে কাজে নেয়ার কথা ভাবতে পারেন, তাহলে তিনি ওই মহিলাকে কেন কাজ দেয়ার কথা ভাবলেন না?”