অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা

ভারতের অযোধ্যার বিতর্কিত ভূমিতে আগামী সপ্তাহ থেকে মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে। সেখানে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে আশেপাশের সড়কগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব তথ্য জানিয়েছে।

কয়েক দশকের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত বছর নভেম্বরে বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি নিয়ে করা ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায় দেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে বিতর্কিত পৌনে তিন একর ভূমি মন্দির নির্মাণের জন্য দেওয়া হয়, তবে মন্দির হবে একটি ট্রাস্টের অধীনে। আর মসজিদের জন্য কাছাকাছি অন্য স্থানে পাঁচ একর জমি দেবে সরকার।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতের প্র্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা দেন। আগামী ৫ অগাস্ট মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে ‍জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

তবে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়, মোদী সেখানে যাবেন কি না তা চলমান করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতি এবং সেখাকার নিরাপত্তা অবস্থার ওপর নির্ভর করছে।

ষোড়শ শতকে নির্মিত বাবরি মসজিদের ভূমি নিয়ে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘ কয়েক যুগের। হিন্দুদের বিশ্বাস, রামচন্দ্রের জন্মভূমি অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের জায়গায় একটি রাম মন্দির ছিল।

১৯৯২ সালে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেন। মসজিদটি ভাঙা নিয়ে ওই বছর হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গায় ভারতজুড়ে দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। নভেম্বরের রায়ের পর আবারও একই ধরনের দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল। তবে সেরকম কিছু ঘটেনি।

অযোধ্যায় মুসলমানদের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য সাকিব নূর বলেন, ‘আমরা সেখানে হিন্দু মন্দির নির্মাণের রায় মেনে নিয়েছি। তাই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কোনো কারণ নেই।‘ উভয়পক্ষ শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখার কথা বললেও অযোধ্যা কর্তৃপক্ষ কোনো ঝুঁকি নিতে নারাজ।

এরই মধ্যে মন্দির নির্মাণের জায়গার আশেপাশের সড়কে পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে বড় ধরনের জনসমাগম এড়াতে সড়কগুলোতে ব্যারিকেডও বসানো হবে। ২০২২ সাল নাগাদ মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এমন আরো সংবাদ

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন !
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ সংবাদ