ভোরের আলো রিপোর্ট, ঢাকা অফিস: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভেন্টিলেশন সাপোর্টে চিকিৎসাধীন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের শারীরিক অবস্থা ‘খুবই সংকটাপন্ন’। অস্ত্রোপচার পরবর্তী ২৪ ঘণ্ঠায় তার শারীরিক অবস্থার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল যতটুকু উন্নতি হওয়ার কথা দৃশ্যত ততটুকু হয়নি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে মোহাম্মদ নাসিমের চিকিৎসার্থে গঠিত ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া মোহাম্মদ নাসিমকে দেখে এসে আজ (৬ মে) এ তথ্য জানান।
কত ঘণ্টা পরে চিকিৎসকরা প্রকৃত অবস্থা বুঝতে পারবেন এমনটা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন তো অপারেশনের পর ২৪ ঘণ্টা পার হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা দেখি, তারপর আরও ২৪ ঘণ্টা দেখার পর প্রতি ২৪ ঘণ্টায় কতটুকু উন্নতি বা অবনতি হয় তার ওপর নির্ভর করে প্রকৃত শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য করা যাবে।
অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া জানান, যে ওষুধ দিয়ে তাকে অজ্ঞান করা হয়েছিল সে ওষুধের প্রভাব এখনও যায়নি। সেক্ষেত্রে শারীরিক অবস্থার পর্যালোচনা করা দুরূহ ব্যাপার। ওষুধের প্রভাব নাকি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের প্রভাবের কারণে এমনটা হচ্ছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে অজ্ঞান করার ওষুধটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এখন পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় কতটুকু উন্নতি হয় তা দেখতে হবে।
তিনি, ওনার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন, খুবই সংকটাপন্ন। অস্ত্রোপচার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় যে রেজাল্ট পাওয়ার কথা ছিল তা দৃশ্যমান না হওয়ার কারণেই খুবই সংকটাপন্ন মনে করছি।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণকালে গতকাল (শুক্রবার) ভোরে তার ব্রেন স্ট্রোকের ফলে মস্তিষ্কে বড় ধরনের রক্তক্ষরণ হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে জরুরিভিত্তিতে হাসপাতালের নিউরো সার্জন অধ্যাপক রাজিউল হকের তত্ত্বাবধানে সফল অস্ত্রোপচার শেষে তাকে আইসিইউতে ভেন্টিলেটর মেশিনে স্থানান্তর করা হয়।
গত ১ জুন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এর আগে শারীরিক ‘দুর্বলতা’ নিয়ে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম।