ভোরের আলো রিপোর্ট: ৩৭ মিলিয়ন সিরিঞ্জ সরবরাহের জন্য আন্তর্জাতিক একটি কোম্পানিকে ক্রয়াদেশ দিয়েছে কানাডা। ভ্যাকসিনেশনের জন্য এই সিরিঞ্জ এর প্রয়োজন হয়। কানাডা হঠাৎ করে এতো বিপুল সংখ্যক সিরিঞ্জ কিনছে কেন? ফেডারেল সরকারের পাবলিক সার্ভিস এবং প্রকিউরমেন্ট মিনিস্টার অনিতা আনন্দ মঙ্গলবার বলেছেন, আমরা আমাদের প্রস্তুত রাখছি। যখনি ভ্যাকসিন হবে তখনি যেনো কানাডার নাগরিকরা ভ্যাকসিন পেতে পারে তার প্রস্তুতি। কানাডায় বর্তমান জনসংখ্যা বেসরকারি হিসেবে প্রায় ৩৮ মিলিয়ন। ২০১৬ এর আদমশুমারিতে লোক সংখ্যা আছে ৩৪ মিলিয়ন। ৩৭ মিলিয়ন সিরিঞ্জ মানে হচ্ছে দেশের প্রায় সব নাগরিককে এক সাথে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার সক্ষমতা। মন্ত্রী অনিতা বলেছেন, সিরিঞ্জের পাশাপাশি ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য আনুসঙ্গিক যা লাগে সবই কিনে রাখা হচ্ছে।
চীনের তৈরি একটি ভ্যাকসিন মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করছে কানাডা। প্রথম দফায় চীন নিজেরা মানবদেহে প্রয়োগ করে সাফল্য পেয়েছে। এখন কানাডা সেটির ট্রায়াল করছে। ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য একটি কোম্পানিকে দায়িত্বও দিয়েছে ফেডারেল সরকার। অর্থ্যাৎ, ভ্যাকসিন উৎপাদন, ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য সিরিঞ্জ ও অন্যান্য সামগ্রী সবই প্রস্তুত রাখছে কানাডা।
এগুলো কি কেবলি প্রস্তুতি? না কি কোনো অগ্রগতির সংবাদ আছে কানাডা সরকারের কাছে! মন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, সিরিঞ্জ সরবরাহের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো ডেডলাইন দেয়া হয়নি। ভ্যাকসিন হলে যেনো সঙ্গে সঙ্গে নাগরিকরা সেটি পেতে পারে তার প্রস্তুতি হিসেবেই ক্রয়াদেশ দিয়ে রাখা হয়েছে।