রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হকের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ এনেছেন এক নারী। ওই সাংসদকে স্বামী দাবি করে আয়েশা আক্তার ওরফে লিজা (৩০) নামের ওই নারীর অভিযোগ, সাংসদ তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তার গর্ভের ভ্রূণ হত্যা করা হয়েছে। এখন তিনি হত্যার হুমকি পাচ্ছেন। ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী জানিয়ে সাংসদের দাবি, তিনি তাকে তালাক দিয়েছেন। তবে আয়েশা এখনো কোনো তালাকের নোটিশ পাননি বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, সাংসদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন এটা সম্মানহানির অপচেষ্টা ও ধান্দাবাজি। তবে তিনি বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন।
গত ২৯ মে আয়েশা আক্তার নিজের ফেসবুকে সাংসদ এনামুলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি প্রকাশ করেন। তার ফেসবুকের কাভার ফটো ও প্রোফাইল ছবিতেও সাংসদের সঙ্গে তাকে দেখা যায়। সোমবার দুপুরে লিজা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এমপি সাহেবের ভক্তরা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন। আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে দেওয়া হবে, এমন সব কথা বলছেন। আমি গণমাধ্যমে এসেছি। তাই আজ উনি আমাকে ডিভোর্স দিবেন। সব মিলিয়ে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। তবে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব। বিচার চাইব।’
গত ৩১ মে ফেসবুকে লেখেন, সাংসদ এনামুলের সঙ্গে তার পরিচয় ও প্রেম ২০১২ সাল থেকে। ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল পারিবারিকভাবে সাংসদের বাগমারার বাসায় তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু সাংসদের পরবর্তী নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে সমস্যা হবে বলে তখন বিয়ে নিবন্ধন করা হয়নি। সেই বিয়ের ভিডিও এবং ছবি আছে। ২০১৫ সালে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হন। নির্বাচনের আগে সাংসদ বাচ্চা নিতে চান না বলে সেই ভ্রূণ নষ্ট করা হয়। ২০১৮ সালের ১১ মে তাদের বিয়েটা নিবন্ধিত হয়।
বাগমারার সাংসদ এনামুল হক বলেন, ২০১৮ সালে তিনি ওই নারীকে বিয়ে করেন। গত ২৩ এপ্রিল তালাক দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এখন কিছু বলার থাকলে তিনি (ওই নারী) আদালতে বলতে পারেন। ফেসবুক-পেপার-পত্রিকা-সাংবাদিক এগুলো করে বেড়ানোর দরকার কী! এগুলো আমার মান-সম্মানের হানি বা অন্য কোনো ধান্দাবাজির জন্য হচ্ছে।’