দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে এখন মহামারি বলা যায় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। সংস্থাটির মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস কোভিড-১৯ নিয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১ লাখ ১৮ হাজারের বেশি মানুষকে আক্রান্ত এবং ৪ হাজার ২৯১ জনের মৃত্যুর কারণ হওয়ায় করোনাকে এখন মহামারি বলা যায়।
গেব্রিয়েসাস বলেন, ‘যে হারে করোনা ছড়াচ্ছে তাতে আমরা ভীষণ উদ্বিগ্ন।’
আক্রান্ত দেশগুলোরও আরও শক্তিশালী ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে উল্লেখ করে তিনি জানান, চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ গত দুই সপ্তাহে ১৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মহামারি তখনই বলা হয় যখন কোনো রোগ একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
তবে আশার বাণী শুনিয়ে গেব্রিয়েসাস বলেন, এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ দেখিয়েছে যে এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকানো সম্ভব।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত ৬৬ হাজার ৬১৭ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন।
চীনের পর করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ইতালিতে। দেশটিতে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ১৪৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬৩১ জনের। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় এক হাজার মানুষ। অপরদিকে ইরানে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৪২ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২৯১ জন।
প্রতিবেশী দেশ ভারতে নতুন করে আরও ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬২ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে নতুন করে কারও শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।