দীন ইসলাম: দিল্লীর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারনে বাংলাদেশের মুসলিমরা ফুঁসে উঠতে পারেন। এমন খবর দূতাবাস মারফত দিল্লী পৌছে যায়। এরপরই দৃশ্যপট বদলে যায়। বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রের খবর, গত ৮ ই মার্চ বিকালে বাংলাদেশ সরকার খবর পায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসবেন না। এটা চূড়ান্ত। কয়েক ঘন্টার মধ্যে এমন ঘোষণা আসবে ভারত সরকারের তরফ থেকে। এমন সংবাদ পাওয়ার পর রীতিমতো মাথা নষ্ট হয়ে যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যদের। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এনিয়ে তাদের রিপোর্টে জানায়, মোদি মুজিববর্ষে আসবেন না এটা জানলে সরকার বেকায়দায় পড়ে যাবে। এজন্য সরকারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ি ঢাকার মিডিয়ায় তড়িঘড়ি করে ‘করোনা ভাইরাস’- এ তিন জন আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ প্রকাশ করা হয়। খোদ প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে গণভবনে ঘরোয়া বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহেনা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনসহ সরকারের উর্ধবতনরা।বৈঠকের আলোচনায় নরেন্দ্র মোদীসহ অন্য বিশ্ব নেতাদের না আসার বিষয়টি জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।এরপরই মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তড়িঘড়ি করে ৮ ই মার্চ রাত ১১ টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনিস্টিটিউটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানসূচি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। প্যারেড গ্রাউন্ডে বড় পরিসরে মুজিববর্ষের যে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল সেটি স্থগিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হবে, তবে বড় পরিসরে কোনো আয়োজন থাকছে না। ব্রিফিংয়ে কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, যৌথ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে দেশে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানটি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। কারণ বঙ্গবন্ধু জনগণের কষ্ট লাঘব করতে চেয়েছেন। তাই জনকল্যাণ ও জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় রেখে সামগ্রিক প্রোগ্রামটি পুনর্বিন্যাস করা হয়। এদিকে আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসার কথা ছিল নরেন্দ্র মোদির। তবে দিল্লিতে মুসলিম বিরোধী গণহত্যার প্রেক্ষাপটে তার সফরের বিষয়ে ঘোষণা আসার পর থেকেই এর প্রতিবাদে দেশের বামপন্থি ও ইসলামী সংগঠনণ্ডলো বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছিল। এদিকে সরকারি পযায়ে বিভিন্ন কথা বলা হলেও মুজিববর্ষ বাতিল নিয়ে চারদিকে নানা কথা ভেসে বেড়াচ্ছে। এর আগে সরকারি ও বেসরকারি পযায়ে মুজিববর্ষ পালন নিয়ে মাতামাতিতে মেতে উঠে সরকার ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা। জানুয়ারিতে মুজিববর্ষের ক্ষণগননা শুরু হয়। ক্ষণ গননা নিয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তাই মুজিববর্ষ মূলত কাণ্ডজে বর্ষে পরিণত হতে চলেছে।