যতই দিন যাচ্ছে ততই আপনাকে দেখে মুগ্ধ হচ্ছি। আপনার নেতৃত্বণ্ডণ আমাদের মতো তরুণ নেতাদের অনুপ্রাণিত করছে। বলছি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)- এর সহ-আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন ভাইয়ের কথা। তরুণ এ নেতা কথা বলেন ণ্ডছিয়ে। ধীরস্থির স্বভাবের এ নেতার মনেপ্রাণে সব সময় থাকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আগামীর কণ্ঠস্বর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আমি যতদূর জেনেছি, বিদেশে আপনি কোন কমিটি গঠনের সময় প্রথমেই জোর দেন বিবাদমান বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে। এরপরই ভিন্ন আঙ্গিকের কর্মশালা ও কর্মীসভার মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের অনুপ্রাণিত করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আপনার কর্মকান্ডের সংবাদ জানতে পারি। এসব সংবাদ জানতে পেরে নিজেই নিজেকে নানান কথা বলি। এখন বলছি, খোকন আপনার কর্মকান্ডের জন্য আপনাকে অভিনন্দন না জানিয়ে পারছি না। আমি জেনেছি দেশে বিদেশে বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে আপনি যারপরনাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দলের এই দুঃসময়ে আপনার কর্মকান্ড বিএনপি নেতৃত্বকে প্রেরণা দেবে সন্দেহ নেই। আমরাও সব সময় এমন নেতৃত্বেরই প্রত্যাশা করেছি।
শুনেছি এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশে আপনি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। এসব কমিটি গঠনে আপনি সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন করেছেন। শুনেছি, নতুন ঘোষিত কমিটি’র এলাকাণ্ডলোতে জাতীয়তাবাদী শক্তির নব উত্থান হয়েছে। এ জাগরনে জাতীয়তাবাদি শক্তি আরও বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছে। আপনি আগামীর নেতাদের মেজাজ মর্জি সবই বুঝেন। এটাই বিএনপি’র একজন কর্মী হিসেবে আমার বা আমাদের সফলতা। গত ৫ ই ডিসেম্বর আপনি কানাডায় আসলেন। মন্ট্রিলে রাজনৈতিক সভা করে গেলেন। ফেসবুক লাইভে আপনার বক্তব্য শুনে অনুপ্রাণিত হয়েছি। দীর্ঘক্ষণ যে বক্তব্য দিলেন তা অনেক দিন আমাদের মনে থাকবে। আপনি হয়তো জেনে থাকবেন, আমরা টরন্টোতে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে সামনে থেকে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। প্রবাসের বিভিন্ন বাধ্যবাধকতার মধ্যেও নানা কর্মসূচি পালন করছি। বাংলাদেশে এই স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদে সোচ্চার। সারা দুনিয়া জানে, জাতীয়তাবাদী শক্তির শক্র লেডি হিটলার শেখ হাসিনা কানাডা সফরের সময় আমরা টরন্টোতে কানাডা বিএনপি’র পক্ষ থেকে কালো পতাকা, প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছি। এছাড়াও আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র পুর্ণরুদ্ধারে আন্দোলনে আমরা সর্বদা সোচ্চার ভূমিকা অব্যাহত রেখেছি। আপনার মন্ট্রিল সফরের সময় টরন্টোতে আমরা আপনাকে খুব মিস করেছি। মনে মনে ভেবেছি, আপনার সাহচর্য পেলে নিশ্চয়ই তা রাজনৈতিক জীবনে ফলদায়ক হবে। আগামীতে যে কোন সাংগঠনিক সফরের সময় আপনাকে পাশে পাবো এমন কামনা সব সময় করি। আশা করি, এক লাখ বাংলাদেশির অধ্যুষিত শহর টরন্টোতে আপনি আগামীতে আসবেন। আমাদের রাজনৈতিক দীক্ষা দেবেন। সারা দুনিয়ার মানুষ জানে বাংলাদেশে এখন ক্রান্তিকাল চলছে। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে এখন গণতন্ত্র নেই। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মাতা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এখন জেলখানায় বন্দি। তিলে তিলে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। ঠুনকো মামলায় স্বৈরাচারি শেখ হাসিনা সরকার জনপ্রিয় এ নেত্রীকে জেলে পুড়ে রেখেছে। আদালতকে নিজেদের কব্জায় নিয়ে সরকার নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিচ্ছে না। আমাদের প্রাণপ্রিয় আপোষহীন নেত্রী ও গণতন্ত্রের মাতা জেলখানায় এটা মেনে নেয়া যায় না।
প্রবাসে বসে নেত্রী খালেদা জিয়ার কথা মনে পড়লে মনটা ডুকড়ে কেঁদে উঠে। কিছু বলতে পারি না। কি করবো ভেবে পাই না। লীডার আপনার মতো কিছু নেতৃত্ব পেলে জাতীয়তাবাদী শক্তি জেলের তালা ভাঙ্গতে বেশি সময় লাগবে না। টরন্টোতে এসে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে উৎসাহ দিয়ে যান। চুপি চুপি বলে যান, তোরা এগিয়ে যা আমরা পেছনে আছি। আপনার এমন বাণী পেলে সামনে এণ্ডতে বেশি সময় লাগবে না।
জাকারিয়া রশীদ চৌধুরী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক (কানাডা বিএনপি) ও সাবেক জিএস, সিলেট ল কলেজ