মদপানের পর বাড়ি ফিরছিল ২১ বছর বয়সী এক তরুণ। সে ছিলো ভীষণ ক্ষুধার্ত। রাস্তায় এক নারীর সঙ্গে দেখা হয়। পরে তাকে হত্যা করে। এমনকি ওই নারীর মগজ মেখে ভাতও খায় সেই তরুণ।
শুধু ভাষা বুঝতে না পারার কারণে ফিলিপাইনে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। তবে অনেকেই লিয়াডো ব্যাগটগ নামে ওই তরুণের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
জানা যায়, হঠাৎই মাঝ রাস্তায় এক নারীর সঙ্গে দেখা হয় লিয়াডোর। সেই নারী ইংরেজিতে কথা বলেন। কিন্তু লিয়াডো ইংরেজি জানে না। সে সময় মেয়েটিকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে লিয়াডো। তবে মেয়েটি ক্রমাগত কথা বলতে বলতে লিয়াডোর পেছন পেছন হাঁটতে থাকেন। আর এতেই রাগে ফেটে পড়েন লিয়াডো।
পুলিশ বলছে, এরপরই মেয়েটিকে একটি জনমানবশূন্য এলাকায় নিয়ে যায় লিয়াডো। তাকে প্রথমে কোমরের বেল্ট দিয়ে বেঁধে ফেলে মাথায় কোপ দেয়। এতেও ক্ষ্যান্ত হয়নি। এক টুকরো কাপড় দিয়ে মাথাটি বেঁধে বাড়ি নিয়ে আসে। ঠান্ডা মাথায় সে ভাত রান্না করে। এরপর মাথার মগজ বের করে ভাতে মেখে খায়। পরে খুলিটা জানলা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলে। লিয়াডো পুলিশের কাছে এমন স্বীকারোক্তিই দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা ওই মেয়েটিকে লিয়াডোর সঙ্গে নির্জন জায়গায় যেতে দেখেছিলেন। এরপর কী হয়েছে, তারা জানেন না।
এদিকে প্রতিবেশীরা জানান, লিয়াডো আগাগোড়াই রগচটা। অনেকদিন ধরেই কর্মহীন। এতে দিনদিন খিটখিটেও হয়ে যাচ্ছিল। সারাদিনই মদে ডুবে থাকত। তাই লিয়াডোর পক্ষে এই র্কীতি ঘটানো মোটেও অসম্ভব নয়।