কিছু অস্পষ্ট ছবিকে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তিউনিশিয়ার একজন সংসদ সদস্য(এমপি)। দেশটির নবনির্বাচিত ওই এমপির নাম জহির মাখলুফ বলে জানা গেছে।
ছবিগুলো প্রচার করে তার বিরুদ্ধে এক কলেজ ছাত্রী অভিযোগ তোলেন, মাখলুফ তাকে উদ্দেশ্য করে নিজ গাড়িতে বসে হস্তমোইথুন করছিলেন।
এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে তিউনিশিয়া জুড়ে। ফলে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলা নারীবাদী আন্দোলন ‘মি টু’র ফাঁদে ফেঁসে যেতে পারেন ওই এমপি।
জহির মাখলুফের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন তিউনিশিয়ার নারী অধিকার কর্মীরা। তাদের সকলের হাতে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন ব্যানার-প্ল্যাকার্ড। সেগুলোতে মাখলুফের বিচারের দাবি তুলে স্লোগান দিচ্ছেন তারা।
এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে ‘হ্যাশট্যাগ মি টু’ লিখেও প্রতিবাদের ঝড় তুলছেন দেশটির নারীবাদীরা। নারী আন্দোলনকারীরা অনেকেই ‘#এনাজেদা’ লেখা টি-শার্ট পড়ে আন্দোলন করছেন। বিশ্বব্যাপী পরিচিত ‘মি টু’র আরবি অনুবাদই হচ্ছে এনাজেদা।
নবনির্বাচিত ওই এমপি অবশ্য তার বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, ছবিগুলোতে যে দৃশ্য দেখা যাচ্ছে, তা আসলে হস্তমৈথুনের নয়। বরং তিনি সেসময় তার গাড়িতে বসে একটি বোতলে প্রস্রাব করছিলেন। কারণ তিনি ডায়াবেটিসের রোগী এবং ওই সময় তার প্রস্রাবের বেগ পেয়েছিল। কিন্তু আশেপাশে পাবলিক টয়লেট না থাকায় তার অন্য কোন উপায় ছিল না।
যে ছবিগুলো নিয়ে এত বিতর্ক, সেগুলো গত অক্টোবরে তোলা। অভিযোগকারী ওই ছাত্রীটিই ছবিগুলো তুলে রেখেছিলেন। জহির মাখলুফ সম্প্রতি তিউনিশিয়ার এমপি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরই ঘটনাটি সামনে নিয়ে এসে তার বিচারের দাবিতে সোচ্চার হন ছাত্রীটি।
মাখলুফ অবশ্য বর্তমানে সংসদীয় দায়মুক্তি ভোগ করছেন এবং নিজ দায়িত্বে বহাল আছেন। তবে, আদালতে তার বিরুদ্ধে করা মামলাটির বিচারকার্য চলমান রয়েছে।