ভারত তাদের পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে যোগাযোগ বাড়াতে চায়। দীর্ঘ ঘুরপথ এড়ানো এবং অর্থ ও সময় বাঁচানোর জন্য বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করাতে চায় দেশটি। এজন্য দুই দেশের মধ্যে চুক্তিও হয়েছে। এখন চলছে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ।
তবেই এই ট্রানজিটে বাংলাদেশ কি লাভ হবে তা এখনও পরিষ্কার নয়, ট্রানজিটের জন্য বাংলাদেশকত টাকা ফি পাবে তা এখনও নির্ধারণ হয়নি। খুব শিগগিরই দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মাঝে বৈঠক হবে, সেখানে নির্ধারিত হবে ট্রানজিট ফি।
নদী প্রটোকল অনুযায়ী, বাংলাদেশ প্রতি টন পণ্যের জন্য ২৭৭ টাকা আদায় করতে পারে। এর মধ্যে ৫০ টাকা নিরাপত্তা বাবদ এবং ৩৪ টাকা যাবে জেটিতে নোঙর করা বাবদ। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি টনের জন্য ১,০৫৮ টাকা ধার্য করার যে প্রস্তাব তৈরি করেছিল, তা বাংলাদেশ সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। পরে উভয় দেশের কর্মকর্তারা তা ২৭৭ টাকায় সম্মতি হোন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অর্থনীতির অধ্যাপক সেলিম রায়হান বলেন, ‘আমরা যদি ইকোনমিক জোনগুলোতে বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে না পারি, তবে অন্যান্য দেশ আমাদের রাস্তা, বন্দর ও অন্যান্য অবকাঠামো ব্যবহার করে তাদের রফতানি বাড়াবে, আর আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো।’
ইকোনমিক জোনগুলো রাস্তা, রেল ও নৌপথের মাধ্যমে সংযুক্ত করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এই ট্রানজিটের জন্য ৭.৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের তিনটি লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) দিয়েছে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে কানেকটিভিটির অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হবে।