বর্তমানে দেশে ৩০টি বেসরকারি টেলিভিশন সম্প্রচার করছে এবং আরও ১১টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচারের অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।
জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাবে এতথ্য জানানো হয়।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলামের (টিটো) প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ৪৫টি বেসরকারি চ্যানেলকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পূর্ণ সম্প্রচারে আছে ৩০টি। এছাড়া ১১টি চ্যানেল সম্প্রচারের অপেক্ষায় আছে এবং ৩টি ফ্রিকোয়েন্সি পায়নি।
অপেক্ষায় থাকা ১১টি চ্যানেল হলো- আব্দুল্লাহ আল মামুন কৌশিকের চ্যানেল ২১, মামুনুর রশীদ কিরণের গ্লোব মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড, নুর মোহাম্মদের উৎসব, মোহাম্মদ সাইফুল আলমের রংধনু, ধানাদ ইসলাম দীপ্তর তিতাস, তানভির আবিরের খেলা টিভি, জিনাত চৌধুরীর আমার টিভি, মুহম্মদ শফিকুর রহমানের সিটিজেন টিভি, তানজিয়া সিরাজের প্রাইম টিভি, শীলা ইসলামের স্পাইস টিভি ও আবুল বাশার মোহাম্মদ রকিবুল বাসেতের টিভি টুডে।
অপর এক সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাংলাদেশের বাইরে ভারত, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল, মিয়ানমার, ভুটান, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনস, কিরগিস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমিনিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাকিস্তানে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) সম্প্রচার হচ্ছে। এছাড়া আইপিটিভির মাধ্যমে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই বিটিভি দেখার সুযোগ রয়েছে।
সম্প্রচার আইন ২০১৮ (খসড়া) মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন করা হয়েছে। ভেটিংয়ের জন্য এটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এই আইনের আওতায় সম্প্রচার কমিশন গঠন হলে স্যোশ্যাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমের সম্প্রচার নিবিড়ভাবে তদারকি করা সম্ভব হবে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।