ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পুণের ভাবধন এলাকায় লোকের বাড়িতে গৃকর্মীর কাজ করেন গীতা কালে।
সম্প্রতি তার ভিজিটিং কার্ড ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। তার পরই রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান এই নারী।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, ভাইরাল হওয়া সেই কার্ডে লেখা রয়েছে গীতার নাম ও ফোন নম্বর। তার নীচে লেখা রয়েছে কাজের বিবরণ ও প্রতি মাসে সেই কাজের রেট।
যেমন, ঝাড়ু-পোছা, কাপড়ে ধোনা-র মতো কাজের জন্য প্রতি মাসে ৮০০ টাকা নিয়ে থাকেন গীতা। সেখানে রুটি তৈরির জন্য নেন মাসে এক হাজার টাকা। টাকার বিনিময়ে অন্যান্য গৃহস্থালীর কাজও করতে প্রস্তুত গীতা।
তবে গীতার রাতারাতি পরিচিতি পাওয়ার পেছনে অবদান রয়েছে ধনশ্রী শিন্ডের। ধনশ্রীর বাড়িতে কাজ করেন গীতা।
একদিন অফিস থেকে ফিরে ধনশ্রী দেখলেন মনমরা হয়ে বসে আছেন গীতা। কারণ, গীতার একটি বাড়ির কাজ চলে গেছে।
ফলে তার মাসে চার হাজার টাকা রোজগার কমে গেছে। সেই শুনে নিজের ব্রান্ডিং স্কিলকে কাজে লাগিয়ে ভিডিটিং কার্ডের নকশা বানিয়ে দেন ধনশ্রী।
১০০টি কার্ডও ছাপিয়ে আনেন। আরতাঁর আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীর সহায়তায় ভাবধন এলাকায় ছড়িয়ে দেন সেই কার্ড।
ছবি-সহ এই ঘটনার কথা সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পোস্টে শেয়ার করেছেন অস্মিতা জাভেড়কর। তার পরই ভাইরাল হয়েছে সেই পোস্ট।
তা ভাইরাল হতেই ফোনের বন্যায় ভেসে যাচ্ছেন গীতা। পুণে ছাড়িয়ে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাজ জন্য ফোন আসছে গীতার কাছে।