ভোরের আলো রিপোর্ট: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪২ তম শাহাদাত বার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করেছে কানাডা বিএনপি। গত ৪ই জুন, রবিবার রাতে টরেন্টোর ডেনফোর্থের রেড হট তন্দুরি রেস্টুরেন্টে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আহাদ খন্দকারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের সাবেক এমপি আবুল হোসেন মিয়া। এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট জিয়া গবেষক, শিক্ষাবিদ ও টিভি ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ডঃ তাজ হাশমী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আবুল কালাম আজাদ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মাহবুবুর রব চৌধুরী, প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, রেশাদ চৌধুরী, মঈন চৌধুরী, নুরুল ইসলাম, ডঃ মোহাম্মদ হানিফ উদ্দীন, ডাঃ সিরাজুল হক চৌধুরী, ডঃ এনামুল্লাহ মিয়া, মাহবুব চৌধুরী রনি, জাকির খান, রিমন ইসলাম, সাঈদ আহমেদ, প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার আবু জহির সাকিব, এম এ তারেক, আমরিন হোসেন, শেখ আজম সরোয়ার, রাহেল আহমেদ, সোহেলুজ্জামান খান, প্রকৌশলী শরীফ খান, মোঃ দেলোয়ার হোসেন বকুল, মোঃ শাহেদ আহমেদ, শেখ হাসিব হোসেন, মেহেদী ফারুক, সঞ্জীব রায়, মিলন আরিফ, আঃ মান্নান, হাবিবুর রহমান চৌধুরী মারুফ, মোঃ মিজানুর রহমান, ইমন চৌধুরী, মাহমুদ হোসেন সুমন, আলী হোসেন, নাহিদ আহমেদ, শরীফ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বক্তরা বলেন, বর্তমান সরকার যখনই ক্ষমতায় এসেছে তারা শহীদ জিয়ার নামে নানা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে, ইতিহাস বিকৃতি করে তার নাম মুছে দিতে চেয়েছে, কিন্তু পারেনি কেননা জিয়াউর রহমানের স্থান এদেশের মানুষের হৃদয়ে। তারা বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে জিয়াউর রহমানের আর্বিভাব হয়েছিল ১৯৭১ সালে। তার কণ্ঠে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সেই সময় দেশটির এক প্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে মানুষের মনে সাহস জাগিয়েছিল, সৃষ্টি করেছিল প্রেরণা। এটা ছিল মুক্তি সংগ্রামের বার্তা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক তাজ হাশমী বলেন, জাতির ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ছিল অবিস্মরণীয়। তিনি সকল সংকটে দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। মহান স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণা, স্বাধীনতা যুদ্ধের ময়দানে বীরোচিত ভূমিকা এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে তার অনবদ্য অবদানের কথা সবাইকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা উচিত। উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সদস্যের হাতে জিয়াউর রহমান নিহত হন। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার, জেড ফোর্সের অধিনায়ক এবং দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। প্রতিবছর দিনটি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী হিসেবে পালন করে দলটি।