কাফে রয়েলে ২৭/০৩/২০২৩ ইং কানাডা বিএনপির উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। কানাডা বিএনপির উদ্যোগে উৎযাপন কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জনাব আরমান মিয়া মাষ্টারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ক্যুবেক প্রাদেশিক শাখার সভাপতি আব্দুল মান্নান এর পরিচালনায় অনুস্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন কানাডা বিএনপির সংগ্রামী সাবেক সভাপতি জনাব ফয়সল আহমদ চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কানাডার সাউথ শহরের প্রাক্তন মেয়র জনাব জন মার্ক পেলতিয়ার।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কানাডা বিএনপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক জনাব দেলোয়ার হোসেন জনি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কানাডা বিএনপির সহ-সভাপতি জনাব মারিফুর রহমান মারিফ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কানাডা বিএনপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক জনাব ফারুক হাওলাদার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কানাডা বিএনপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক জনাব আঃ সামাদ খান নান্টু।
উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তারা ছিলেন উৎযাপন কমিটির সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, ক্যূবেক প্রাদেশিক শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মুহিম আহমেদ, নূরুল ইসলাম রোনু, মোঃ তোফায়েল মোরশেদ, কামরুল ইসলাম রানা, আঃ আজিজ, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, মোঃ নওসাদ উল্লা, মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ রুকন, মোঃ হুমায়ুন ফাটুয়ারী ও প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা এবং আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ অসীম সাহস বুকে নিয়ে যদি এদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা না দিতেন, তাহলে হয়তোবা আমাদের আরো দীর্ঘ এক রক্তগঙ্গা পাড়ি দিতে হতো; আমাদের স্বাধীনতাপ্রাপ্তি বিলম্বিত হতে পারতো। কিন্তু অসীম সাহসী জিয়া তাঁর মনে দীর্ঘ লালিত স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য পিছপা হননি।
২৫শে মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানি সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং পরদিন মহান স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে শুরু করে আধুনিক ও উৎপাদনমুখী বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনে জিয়ার অবদান ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণোজ্জ্বল হয়ে থাকবে। তিনি সততা ও বিচক্ষণতায় মৃত্যুঞ্জয়ী জিয়া। দেশপ্রেম, দেশের কল্যাণ সাধনে একাগ্রতা এবং চারিত্রিক দৃঢ়তা ছিল এক ঈর্ষণীয় বিষয়। এসব গুণাবলী তাকে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে গিয়েছিলো।
যে মানুষটিকে আমরা দেখেছি এবং শুনেছি শাসনের রাশ হাতে নিয়েও অধিকারের পবিত্রতাকে লঙ্ঘন করেননি, দেশকে লক্ষ্যভ্রষ্ট হতে দেননি; জাতীয় স্বকীয়তা, স্বাতন্ত্র্য, ঐতিহ্যকে জানান দিয়ে গিয়েছেন, আজ হয়তো তিনি নেই। কিন্তু তাঁর পথ আছে, পথের দিশা আছে; আছে জনগণ এবং এক অম্লান আদর্শ। এক কথায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন দেশের গন মানুষের কাছে সোর্স অফ এনার্জি। তিনি হচ্ছেন ইতিহাসের নায়ক। আমাদের তাই পথভ্রষ্ট হওয়া চলবে না। প্রেসিডেন্ট জিয়ার নির্দেশিত পথই আমাদের একমাত্র পথ।’
বক্তার আরো বলেন ১৭ কোটি মানুষের প্রত্যাশার প্রতিক,আমাদের হৃদয়ের স্পন্দন, পলিটিক্যাল ফিলোসফার দেশ নায়ক জনাব তারেক রহমান যে টেইক ব্যাক বাংলাদেশ আন্দোলনের ঘোষনা দিয়েছেন তা সফল করতে কানাডা বিএনপির সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার।
আমাদের প্রান প্রিয় অসুস্থ দেশনেত্রী, মাদার অফ ডেমোক্রেসি, তিন বারের সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি, নিশি রাতের ভোট চোর ফেসিষ্ট অনির্বাচিত এবং অবৈধ সরকারের দুর্নীতি আর দুরশাসন থেকে পরিত্রান কামনা ও দেশের সমৃদ্ধি চেয়ে ইফতার পূর্ব দোয়া করা হয়। বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুহিম আহমেদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আবদুল মান্নান।