ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে গরুপাচার রুখতে বিশেষ নজর দিতে চলেছে।
সিবিআই সূত্রের বরাতে এবিপি আনন্দ জানিয়েছে, সম্প্রতি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সদর দফতরে একটি অভিযোগ জমা পড়ে। তাতে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের একাধিক সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে বাংলাদেশে রমরমিয়ে গরু পাচারের বেআইনি কারবার চলছে। তাতে রাজ্যের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বরাও যুক্ত বলে উল্লেখ করা হয় অভিযোগ পত্রে।
দিল্লির সদর দফতর থেকে এই অভিযোগ পাঠিয়ে দেওয়া হয় সিবিআইয়ের কলকাতা দফতরে। সিবিআই সূত্রে খবর, এরপরেই এ রাজ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে গরু পাচার নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করেন সিবিআইয়ের কলকাতা শাখার কর্মকর্তারা। প্রাথমিক তদন্তের সেই রিপোর্ট কলকাতা থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় দিল্লিতে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে গরু পাচার নিয়ে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে একাধিক রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের নাম উঠে এসেছে। রয়েছে বিএসএফ-এর কিছু কর্মকর্তার নামও।
সূত্রের খবর, রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে অভিযুক্ত বিএসএফ কর্মকর্তা, সবার কাছেই পৌঁছে যাচ্ছে বেআইনি পাচারচক্রের টাকা! সিবিআইয়ের অনুমান, শুধু গরু পাচারই নয়, বেআইনি কারবারের এই জাল ছড়িয়ে সোনা পাচার ও জাল নোটের কারবারেও।
সিবিআই সূত্রের খবর, গরু পাচার নিয়ে প্রাথমিক এই রিপোর্টের ভিত্তিতে এফআইআর দায়েরের আর্জি করা হয়েছে রিপোর্টে। প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এবিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে এখন আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।