বিয়ের জন্য যারা ঘটকালি প্রতিষ্ঠান খোঁজেন সবার আগে নাম আসে ঘটক পাখি ভাইয়ের। বহুল পরিচিত প্রতিষ্ঠানটি ঠিকমতো কর দিচ্ছে কি-না তা খতিয়ে দেখছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এজন্য ঘটক পাখি ভাই, প্রতিষ্ঠানের এমডি ও পরিচালকের অ্যাকাউন্ট তলব করা হয়েছে। সোমবার এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল থেকে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়।
অন্যদিকে, বিপুল অঙ্কের সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়ায় শাহেদুল হক নামের এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট থেকে সব ব্যাংকে চিঠি দিয়ে শাহেদুল হক, তার বাবা মোরশেদুল হক, মা নাজমা হক, স্ত্রী সারিনা তামান্না হকের নামে কোনো অ্যাকাউন্ট থাকলে তা ফ্রিজ করতে বলা হয়েছে। তাদের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে ১৭৩ (ষষ্ঠ তলা), ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা এবং ১৯/১ কাকরাইল রোড, শান্তিনগর ঢাকা। চিঠিতে দেওয়া মোবাইল নম্বরে ফোন করে শাহেদুল হক কি-না জানতে চাইলে বলেন, ‘রং নম্বর’।
জানা গেছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি ও ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর পর বেসরকারি একটি ব্যাংকে শাহেদুল হকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৪ কোটি টাকা তোলা হয়েছে। আর ২০১৬ সালে অ্যাকাউন্টটি খোলার পর থেকে মোট ৬২ কোটি ১৯ লাখ টাকা লেনদেন হয়। গত ১৫ অক্টোবর গ্রাহকের আবেদনের ফলে অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দিয়েছে ব্যাংক। অভিযান শুরুর আগের দিন ১৭ সেপ্টেম্বরও ওই অ্যাকাউন্টে এক কোটি টাকা জমা হয়। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০ লাখ টাকা করে পাঁচবারে যা তুলে নেওয়া হয়। এরপর আর কোনো টাকা জমা হয়নি। তবে আগে জমা হওয়া ১৪ কোটি টাকা ছিল অ্যাকাউন্টে। গত ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত ৩৫টি লেনদেনের মাধ্যমে তিনি নগদ ৭ কোটি টাকা তুুলে নেন। আর পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানান্তর করেন ৭ কোটি টাকা। ব্যক্তি অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ লেনদেনের বিষয়টি গোয়েন্দা সংস্থা খতিয়ে দেখছে।
পাখি ভাইয়ের বিষয়ে এনবিআর থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ঘটক পাখি ভাই প্রাইভেট লিমিটেড, প্রতিষ্ঠানটির এমডি কাজী আশরাফ হোসেন ও পরিচালক সুলতানা বেগম বেবির নামে কোনো হিসাব থাকলে চিঠি পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে জানাতে হবে। যে কোনো ধরনের মেয়াদি বা সঞ্চয়ী হিসাব, ঋণ হিসাব বা অন্য কোনো সেভিংস ইন্সট্রুমেন্ট থাকলে তা জানাতে বলা হয়েছে। অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলেও সে তথ্য দিতে বলা হয়েছে।