কাজী আসমা আজমেরী বাংলাদেশি এক দুরন্ত তরুণী। যিনি বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে ভ্রমণ করেছেন বিশ্বের ১১৩টি দেশ। ইতোমধ্যেই আলোচনায় এসেছেন বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় গণমাধ্যমে এবং সংবাদের শিরোনামও হয়েছেন বহুবার, যা বাংলাদেশের মাথা উঁচু করেছে বিশ্ব দরবারে।
পর্তুগাল মাল্টিকালচারাল একাডেমির পর্তুগিজ ভাষা শিক্ষা কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এই তরুণী। এ সময় মাল্টিকালচারাল একাডেমির শিক্ষার্থীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। সমাপনী ও অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও লিসবন সিটি কাউন্সিলর রানা তসলিম উদ্দিন, পর্তুগিজ শিক্ষিকা মারলিন, সোফিয়া ও পাওলা।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পর্তুগাল অভিবাসন অধিদপ্তরে কর্মরত সহকারী অফিসার মঈন উদ্দিন আহমেদ, বরিশাল কমিউনিটি অব পর্তুগালের সাধারণ সম্পাদক মো. সাহিন সাঈদ, সজীব গ্রুপের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (রপ্তানি) মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান প্রমুখ।
কাজী আসমা আজমেরী জানান, পৃথিবীর সব দেশে পায়ের চিহ্ন রাখতে চান তিনি। আর সেটা বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়েই। এ পর্যন্ত বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়ে ১১৩টি দেশে ঘুরেছেন। তার পরিকল্পনা পৃথিবীর সব কটি দেশ সফরের।
তিনি স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে উল্লেখ করেন, আমি ২০১০ সালে ভিয়েতনাম গিয়েছিলাম, ইচ্ছা ছিল সেখান থেকে কম্বোডিয়া যাব। কিন্তু ইমিগ্রেশনের লোকেরা আমার রিটার্ন টিকিট না থাকা এবং বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখে আমাকে সে অনুমতি দেয়নি। সেদেশের ইমিগ্রেশন আমাকে ২৩ ঘণ্টা জেলে বন্দি করে রাখে। আমি খুব কান্নাকাটি করেছিলাম। ওই ২৩ ঘণ্টা জেলে থাকার সময়ই আমি চিন্তা করলাম, আমাকে এমন কিছু করতে হবে যাতে বাইরের মানুষ বাংলাদেশের পাসপোর্টকে সম্মানের চোখে দেখবে, তাদের হয়রানি করবে না।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশি পাসপোর্টের কারণে অনেক বিমানবন্দরে মানুষকে হয়রানি হতে দেখেছি। সেই চিন্তা থেকেই বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে বিশ্বভ্রমণের চিন্তা মাথায় আসে তার।
বাংলাদেশ আমার দেশ, আমি চাই এ দেশকে মানুষ চিনুক। আমরা বাংলাদেশিরা কোনো কোনো দেশে হয়তো যাই শ্রমিক হয়ে, কিন্তু আমরা ভ্রমণপিপাসু এবং পর্যটক হিসেবে যে কোথাও যেতে পারি সেটা আমি দেখাতে চাই। এ বছর তার পরিকল্পনা হচ্ছে, আইসল্যান্ডসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে যাওয়া।