পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে ২১ অক্টোবর সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এটি কানাডার ৪৩তম সাধারণ নির্বাচন।
মতামত ভোট বলছে, দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে বেশ বেগ পেতে হবে ‘ইয়ং আইকন’ খ্যাত ট্রুডোকে।
স্থানীয় সময় বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে রানির প্রতিনিধি গভর্নর জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রচার শুরু করেন ট্রুডো। ধারণা করা যাচ্ছে, তিনি এবার সাশ্রয়ী অর্থনীতি আর জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেবেন।
ট্রুডো এরইমধ্যে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, কানাডাবাসী এমন এক দেশের জন্য ভোট দেবেন, যেখানে তারা বসবাস করতে চান। তিনি বলেন, গত চার বছরে আমরা অনেক কাজ করেছি, যদিও সত্যি কথা হলো আমরা কেবল শুরু করেছি।
নির্বাচনের প্রচারের জন্য আর মাত্রা পাঁচ সপ্তাহের মতো সময় আছে। তিনটি প্রধান দলের মধ্যে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ট্রুডোর নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি ও কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে। তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন ৪০ বছর বয়সী অ্যান্ড্রু শির।
২০১৫ সালের অক্টোবর কনজারভেটিভ পার্টির ১০ বছরের শাসনের অবসান হয়েছিল ট্রুডোর বিরাট জয়ের মাধ্যমে। সে সময় হাউজ অব কমন্সের ৩৩৮ আসনের মধ্যে ট্রুডোর নেতৃত্বে তার দল লিবারেল পার্টি ১৮৪টি আসনে জয় পেয়েছিল। তরুণ ভোটারদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করায় এ জয় তিনি ছিনিয়ে আনতে পেরেছিলেন বলে মনে করা হয়।