তিন পুলিশের কেউই গাড়ি চালাতে পারেন না ফলে আসামিকে দিয়েই চালানো হচ্ছিল পুলিশের গাড়িটি।এ সময় আসামিরা পালিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়িটি খাদে ফেলে কৌশলে লাফ দেন। এতে দুই এসআই মারা যান ও এএসআই গুরুতর আহত হন।এবং আসামিরা পালিয়ে যায় ।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি জানান, আসামিকে দিয়ে গাড়ি চালানোয় তিনি কৌশলে গাড়িটি খাদে ফেলে নিজে পালিয়ে যান। এতে দুই এসআইয়ের মৃত্যু হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ইয়াবা পানিতে পড়ে কিছুটা গলে গেছে। বাকিগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে সোনারগাঁওয়ের দত্তপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, গোপালগঞ্জের ভাটপাড়া এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে শরীফুল ইসলাম এবং ফরিদপুরের ভাঙ্গার মুনসুরাবাদ এলাকার কাজী নুরুল ইসলামের ছেলে কাজী সালেহ আহমেদ। দুজনই সোনারগাঁও থানায় এসআই পদে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা টোলপ্লাজায় অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। পরে সন্দেজনক একটি গাড়ি থামাতে সংকেত দিলে সেটি দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের আরেকটি টিম ওই গাড়িটি ধাওয়া করে ৪২ হাজার ইয়াবাসহ তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পর আসামিদের নিয়ে তারা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে রওনা দেন। এ সময় আসামিই গাড়ি চালান। এসপি অফিসে সংবাদ সম্মেলন শেষে আসামিদের নিয়ে থানার রওনা দেন পুলিশের তিন সদস্য। কিন্তু তাদের কেউই গাড়ি চালাতে পারেন না ফলে আসামিকে দিয়েই গাড়ি চালানো হয়।
গাড়ি চালিয়ে আসামি সোনারগাঁয়ের দত্তপাড়া এলাকায় পৌঁছালে তিনি কৌশলে লাফিয়ে পড়ে গাড়িটি খাদে ফেলে দেন। এতে দুই এসআই মারা যান ও এএসআই গুরুতর আহত হন। এ সময় আসামি পালিয়ে যায়।