পাকিস্তানের পেশোয়ারে মুহাম্মদ ইউসুফ খান নামে তার জন্ম হলেও তারকাখ্যাতি পেয়েছেন দীলিপ কুমার নামে। পাকিস্তান ছেড়ে থিতু হয়েছিলেন ভারতে। সেখানে বুধবার সকালে তিনি মারা যান। পিছনে রেখে যান তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবন, তারকাখ্যাতি আর পাকিস্তানে রেখে গেছেন নিজের পৈতৃক বাড়ি। এর অবস্থান পেশোয়ার শহরের প্রাণকেন্দ্রে, বিবর্ণ হয়ে যাওয়া কিসা খাওয়ানি বাজারে। সেখানেই বড় হয়েছেন তিনি। সেখানেই তিনি হাঁটি হাঁটি পা পা করে শিশুকাল পাড় করেছেন।
কাটিয়েছেন শৈশবের দিনগুলো। তারপর আস্তে আস্তে তারকাখ্যাতি পাওয়া শুরু করেন।
এ খবর দিয়ে অনলাইন এনডিটিভি বলছে, কাজের তাগিদে একসময় দেশ ছাড়তে হয় তাকে। কাকতালীয়ভাবে তার পৈতৃক বাড়ির কাছেই হিন্দি সিনেমার আরেক কিংবদন্তির বাড়ি। তিনি তার আজীবন বন্ধু ও সমসাময়িক রাজ কাপুর। এই দুই কিংবদন্তি যেখানে বড় হয়েছিলেন সেই বাড়ি খাইবার পখতুনখাওয়া ডিরেক্টরেট অব আর্কিওলজি অ্যান্ড মিউজিয়াম গতমাসে তাদের অধীনে নিয়ে নেয়। একে ঘোষণা করা হয় সরকারি সম্পত্তি। তারা জানায়, এ বাড়িগুলোকে তারা জাদুঘরে পরিণত করবে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন নওয়াজ শরীফের সরকার দীলিপ কুমার ও রাজ কাপুরের পৈতৃক বাড়িকে জাতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা ঘোষণা করে। গত বছর প্রাদেশিক সরকার ঘোষণা করে যে, তারা এই দুটি বাড়িকে অ্যাকোয়ার করবে এবং সংস্কার করে জাদুঘরে পরিণত করবে। তখন সেপ্টেম্বরে এ নিয়ে সংবাদ শিরোনাম হয়। তখন নিজের পৈতৃক বাড়ির কিছু ছবি হাতে পান দীলিপ কুমার। তাকে এসব ছবি পাঠিয়েছিলেন পাকিস্তানি সাংবাদিক শিরাজ হাসান। তিনি টুইটারে একশত বছরের ওপরে বয়সী ওই বাড়ির চারটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। তা পেয়ে দীলিপ কুমার তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন এবং পেশোয়ারের অধিবাসীদের অনুরোধ করেছিলেন তার পৈতৃক বাড়ির আরো ছবি পোস্ট বা শেয়ার করার জন্য।
গত মাসে পাকিস্তানের ডন’কে প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক পরিচালক ড. আবদুল সামাদ বলেছিলেন যে, এই বাড়ি দুটির মালিকানা প্রাদেশিক সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ফলে এর বর্তমান মালিকের কাছ থেকে তারা বাড়ি দুটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিচ্ছেন। এখন এ দুটি বাড়িই ডিরেক্টরেট অব আর্কিওলজির সরকারি সম্পত্তি। ওই বিভাগ এ বাড়ি দুটিকে জাদুঘরে পরিণত করার আগে তাতে প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ করবে। তিনি আরো জানিয়েছেন, এরই মধ্যে বাড়ি দুটির মালিকদের যদি এর মূল্য পরিশোধ করতে হয় সে জন্য ডিসি পেশোয়ারের কাছে নির্ধারিত মূল পরিশোধ করা হয়েছে।