ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলবার্ট বৌরলা বলেছেন, তাদের উৎপাদিত টিকা একজন ব্যক্তিকে ১২ মাসের মধ্যে তৃতীয় ডোজ নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। বৃহস্পতিবার তিনি এক সাক্ষাৎকার দেন। এতে তিনি বলেন, ফাইজারের টিকা ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে তৃতীয় ডোজ নেয়ার প্রয়োজন হবে। তবে এ বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। কারণ এক্ষেত্রে করোনার ভ্যারিয়েন্ট একটি বড় ভূমিকা রাখবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। উল্লেখ্য, গবেষকরা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত নন যে, করোনা ভাইরাসের টিকাগুলো কতদিন পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে। এ মাসের শুরুর দিকে ফাইজার একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।তাতে বলা হয়েছে, তাদের উৎপাদিত টিকা শতকরা ৯১ ভাগেরও বেশি কার্যকর সুরক্ষা নিশ্চিত করে। দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর ৬ মাস পর্যন্ত মারাত্মকভাবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে শতকরা ৯৫ ভাগেরও বেশি সুরক্ষা দিয়ে থাকে। তবে গবেষকরা বলছেন, ৬ মাসের পরে কার্যকর থাকে কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য আরো ডাটা প্রয়োজন।
ওদিকে ফাইজার আবিষ্কৃত করোনা ভাইরাসের টিকার দাম অনেক বেশি। ইউরোপিয়ান বিভিন্ন সংবাদ ভিত্তিক সংস্থাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বৌরলা এ কথা বলেছেন। তিনি আরো বলেন, এই টিকা মানবজাতিকে রক্ষা করছে। অর্থনীতিকে উন্মুক্ত করার পথ করে দিচ্ছে। তবে বেলজিয়াম সরকারের কয়েক মাস আগে প্রকাশিত এক তথ্যমতে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে ফাইজারের টিকা সবচেয়ে বেশি দামী। একই রকম দাম মডার্নার টিকার। বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বয়কো বোরিসভ এ সপ্তাহে বলেছেন, এই টিকার প্রতিটির দাম ১৯.৫০ ইউরো থেকে ১২ ইউরো পর্যন্ত।