ব্রিটিশ রাজপরিবার থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়া প্রিন্স হ্যারির বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগে পাঞ্জাবের একটি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভারতীয় এক তরুণী। প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করায় ব্রিটিশ এই প্রিন্সের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন তিনি। যদিও হরিয়ানার আদালত ভারতীয় এই তরুণীকে ভর্ৎসনা করে আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার পাঞ্জাব হাইকোর্ট বলেছেন, এই আবেদন দিবাস্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়। আদালতে আবেদনকারী তরুণী পলবিন্দর সিং-ও একজন আইনজীবী। বিশেষ অনুরোধের প্রেক্ষিতে আদালত তার এই মামলার শুনানি কার্যক্রম শুরু করেছিলেন।
তরুণীর আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানিতে আদালত বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের ভুয়া প্রেমের ঘটনা বেশ পরিচিত। এই পিটিশনের ব্যাপারে শুনানির কোনো ভিত্তি খুঁজে পাচ্ছে না আদালত। অনলাইনে ভুয়া প্রেম সত্যি হতে পারে; এমন বিশ্বাস করায় আবেদনকারীর প্রতি সহমর্মিতা জানানো ছাড়া কিছুই করার নেই।
ভারতীয় ওই তরুণী আবেদনে ব্রিটিশ প্রিন্স, ডিউক অব সাসেক্স হ্যারির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছিলেন। যাতে অন্য কারও ক্ষেত্রে এ ধরনের বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ঘটনা আর না ঘটে। আদালতের বিচারক অরবিন্দ সিং স্যাংওয়ান বলেন, প্রিন্স হ্যারিকে বিয়ের দিবাস্বপ্ন ছাড়া এটি আর কিছুই নয়।
আইন ও আদালতবিষয়ক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম লাইভ ল বলছে, হলফনামা এবং ব্রিটিশ প্রিন্সের নামে যে ই-মেইলের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক ও বিয়ের প্রতিশ্রুতির কথা বলা হয়েছে; তা নিম্নমানের এবং অসঙ্গতিপূর্ণ। এই ই-মেইলের তথ্যের যথাযথ বিশ্বাসযোগ্য ভিত্তি নেই।
আদালতের পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়েছে, এটা বেশ ভালো করেই জানা যে, ফেসবুক এবং টুইটারের মতো বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের ভুয়া আইডি তৈরি করা যায়। এমনও হতে পারে যে তথাকথিত প্রিন্স হ্যারি পাঞ্জাবের কোনো গ্রামের সাইবার ক্যাফেতে বসে মেইল চালাচালি করেছেন।
ওই তরুণী কখনো ব্রিটেন সফর করেছেন কি না বিচারকের এমন প্রশ্নের জবাবে ওই তরুণী ব্রিটেনে যাননি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের কথোপকথন হয়ে বলে জানান।
ব্রিটিশ প্রিন্স হ্যারি সাবেক মার্কিন অভিনেত্রী মেঘান মেরকেলকে ২০১৮ সালে বিয়ে করেন। ২০১৯ সালে তাদের সংসারে আর্চি নামের এক পূত্র সন্তান আসে। মেঘান মেরকেল বর্তমানে গর্ভবতী। ব্রিটিশ রাজপরিবারের এই দম্পতি তাদের দ্বিতীয় সন্তানের অপেক্ষা করছেন।