নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় ‘সন্ত্রাসী হামলা’র জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে ইরান। তাই বলে তারা বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি পুনর্বহালের আলোচনা বন্ধ করবে না। সোমবার দেশের আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত এক বৈঠকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিভ নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় বিদ্যুত বিপর্যয়ের জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেন। কারণ, তারা এর আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে ইরানকে জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অব একশন (জেসিপিওএ) বা পারমাণবিক চুক্তি পুনর্বহাল করা থেকে বিরত রাখার ঘোষণা দিয়েছিল। রাষ্ট্র পরিচালিত ইরনা জাভাদ জারিফকে উদ্ধৃত করে বলেছে- এখন ইসরাইল মনে করছে তারা তাদের লক্ষ্য পূরণ করবে। কিন্তু জায়নবাদীরা আমাদের পারমাণবিক অধিক সক্রিয়তার মধ্য দিয়ে তাদের উত্তর পেয়ে যাবে। এ সময় তিনি ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেযার প্রত্যয় ঘোষণা করেন। বলেন, এমন অজুহাতে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা থেকে বিরত থাকার মতো ফাঁদে পা দেবে না ইরান।এ সময় জাভাদ জারিফ আরো প্রতিশ্রুতি দেন যে, নাতাঞ্জ এতদিন যতটা শক্তিশালী ছিল তার চেয়ে শক্তিশালী হবে। আরো উন্নত সেন্ট্রিফিউজ তৈরি করবে। তিনি ইসরাইলের উদ্দেশে বলেন, তারা যদি মনে করে থাকে এর মধ্য দিয়ে তারা আমাদেরকে দুর্বল করবে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই কাপুরুষোচিত কর্মকা- আলোচনায় আমাদের অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করবে।
উল্লেখ্য, দেশটির ইস্পাহানে অবস্থিত নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় ইউরেনিয়াম ও সেন্ট্রিফিউজ সমৃদ্ধ করা হয়। ইরানের প্রধানতম পারমাণবিক স্থাপনা এটি। রোববার সেখানে আকস্মিকভাবে বিদ্যুত সবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এটাকে ইরান পারমাণবিক সন্ত্রাস হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তবে এর জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দায় স্বীকার করেনি ইসরাইল। স্থানীয় মিডিয়ায় এ নিয়ে তেমন সেন্সরশিপ দেয়া হয়নি। এসব মিডিয়ায় ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে এর জন্য দায়ী করা হয়েছে। এর আগে ভিয়েনায় শুক্রবার পারমাণবিক আলোচনা গঠনমূলকভাবে শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন ইরান, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। সরাসরি সরকারি ব্যবস্থায় এই আলোচনায় অংশ নেননি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। কারণ, ইরান সাফ জানিয়ে দিয়েছে ট্রাম্পের আরোপ করা সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। তারপরই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা।মানবজমিন