গত মাসে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংয়ের সফরসঙ্গী হিসেবে বাংলাদেশে আসা একজন সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে রাজধানী থিম্পুতে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এই প্রথম ভুটানের কোনো সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হলেন। ভুটানের জাতীয় দৈনিক কুয়েনসেল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানায়- ওই রিপোর্টার বাংলাদেশ থেকে ভুটানে ফিরলে ৫ই এপ্রিল তাকে রুটিন টেস্ট করানো হয়। তখন তার করোনা সংক্রমিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। যদিও তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। ওইদিনের পরীক্ষায় বাংলাদেশ সফরে যাওয়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তাও করোনা পজেটিভ হয়েছেন।
পত্রিকাটি জানিয়েছে তাদের অবস্থা এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল এবং তাদের বাংলাদেশ সফর করে এসে করোনা পজেটিভ অন্যদের সঙ্গে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, ভুটানের মিডিয়া টিমকে ঢাকাস্থ ভুটান দূতাবাসের গেস্টহাউসে রাখা হয়েছিল। সেখানকার একজন রাঁধুনি সম্প্রতি করোনাক্রান্ত হয়ে ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ওই রাঁধুনির মাধ্যমে অন্যরা সংক্রমিত হতে পারেন।
এছাড়া মার্চের ২৪ তারিখ পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাংবাদিকদের একটি মতবিনিময় সভা ছিল। সেখান থেকে বা ঢাকা বিমানবন্দর থেকেও সংক্রমণ ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র জানিয়েছে, করোনা মহামারির জন্য বিধিনিষেধ থাকায় তারা কেউই ঢাকার বাইরে অন্য কোথাও যাননি। তাছাড়া সেখানে (বাংলাদেশে) করোনার সংক্রমণ বেশি থাকায় আশেপাশে ঘোরাটাও ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। ১৩ সদস্যের দলটি ভুটান ফিরে আসলে মার্চের ৩১ তারিখ করা প্রথম রুটিন টেস্টে তারা কেউই অবশ্য পজেটিভ ছিলেন না।
এদিকে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশে যাওয়া ২২ সদস্যের একটি সাংস্কৃতিক দলের ১৫ জন ইতিমধ্যে করোনা পজেটিভ হয়েছেন।উৎসঃ মানবজমিন