অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলা নিয়ে কানাডায় পালিয়ে থাকা প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের ধানমণ্ডিতে থাকা দুইটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ও রাজধানীর তিনশ ফুট এলাকার ৪৫০ শতক জমি ক্রোক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (২৮ মার্চ) দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন আদালতের এক আদেশে এসব সম্পত্তি জব্দ করেন বলে সংস্থাটির পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি পি কে হালদারের একটি ১০ তলা ভবনসহ এক হাজার ৮০ শতাংশ জমি জব্দ করার আদেশ দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, নামে-বেনামে তার বিভিন্ন জায়গায় থাকা জমি ও ফ্ল্যাট জমি জব্দ করতে আদালত থেকে আদেশ আসে। এরই প্রেক্ষিতে রাজধানীতে তার ৪৫০ শতক জমি ও ধানমণ্ডিতে থাকা দুইটি ফ্ল্যাট জব্দ করা হয়।
২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে-পরে আত্মীয়, বন্ধু ও সাবেক সহকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে পর্ষদে বসিয়ে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (আইএলএফএসএল), পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানিসহ (বিআইএফসি) অন্তত চারটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন পিকে হালদার। এসব কোম্পানি থেকে তিনি ঋণের নামে বিপুল অংকের টাকা সরিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের বিষয়ে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদক উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে আরও একটি দল অনুসন্ধান চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৫টি মামলা করেছে দুদকের ওই দল, যার প্রতিটিতে পি কে হালদারকে আসামি করা হয়েছে।