রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা মুদি দোকানি শহিদুল ইসলাম খোকনকে দোকানদারি করা অবস্থায় তুলে নিয়ে যায় র্যাব একটি টিম। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে শাহআলীর ১-ই/৭-২ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত মুদির দোকান থেকে তুলে নেওয়ার দেড় ঘণ্টা পর শহিদুলকে আবারো ওই দোকানে নেওয়া হয়। এসময় পরিবারের সামনেই র্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আক্তারুজ্জামান কোমর থেকে আগ্নেয়ামস্ত্র বের করে দোকানের খালি ড্রামে ফেলে বলতে থাকেন অস্ত্র পাওয়া গেছে। এ ঘটনা শহিদুলের ভাবিসহ (বড় ভাইয়ের স্ত্রী) পরিবারের অন্য সদস্যরা দেখে ফেলে চিৎকার শুরু করলে তাদেরকে মারধর করে ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হয়। পরে শহিদুলকে গাড়িতে উঠিয়ে নেওয়ার সময় র্যাব কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান অজ্ঞাতজনকে ফোন করে বলতে থাকেন, ‘আপনার কাজ সঠিকভাবে হয়েছে।’ ঘটনার দিন দোকানে থাকা সিসি ক্যামেরায় স্পষ্টভাবে রেকর্ড হয়েছে। ওই ভিডিও ফুটেজ র্যাবের ডিজির কাছে জমা দেওয়ার পরও এএসপি আক্তারুজ্জামানের অত্যাচার থেকে আমরা রক্ষা পাচ্ছি না।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শহিদুলের বড় ভাই শাহাদাত হোসেন এ অভিযোগ করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে শহিদুলের স্ত্রী নার্গিস আক্তার, ছোট বোন লাকি আক্তার ও শাশুড়ি সাজেদা বেগম উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে শহিদুলের মুক্তি এবং মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাঁসানোর বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে শাহাদাত হোসেন বলেন, ঘটনার পরের দিন আমরা জানতে পারি, শহিদুলের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে শাহআলী থানায় হস্তান্তর করা হয়। দুই দিনের রিমান্ড শেষে শহিদুল বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। তবে, সেদিনের ঘটনা দোকানে থাকা সিসি ক্যামেরায় স্পষ্টভাবে রেকর্ড হয়েছে। ওই ফুটেজসহ র্যাবের ডিজির কাছে অভিযোগ জমা দিলেও আক্তারুজ্জামানের অত্যাচার থেকে আমরা রক্ষা পাচ্ছি না। প্রভাবশালী মহলের পক্ষ নিয়ে আক্তারুজ্জামান এসব করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শাহাদাত হোসেন।
শীর্ষনিউজ