তিন সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। হাইকোর্টের একটি আদেশে দুদক চেয়ারম্যানকে একজন কমিশনার এবং তিন কমিশনারকেই সমান এখতিয়ার সম্পন্ন ঘোষণা করা হয়েছে। চেয়ারম্যানের কাছে অপর দুই কমিশনারকে জবাবদিহি করতে হবে না। রায়ে এটিও বলা হয়েছে যে, প্রতিষ্ঠানটির সকল সিদ্ধান্ত হবে কমিশন সভায়।
কিন্তু সদ্য বিদায়ী দুদক চেয়ারম্যান এই রায়কেও বুড়ো আঙুল দেখান। একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন কমিশনের সর্বক্ষেত্রে। দুই কমিশনারের পদকে রূপান্তরিত করেন ‘আলঙ্কারিক’ পদে। তাদের তিনি কোনো মর্যাদা দিতেন না। বরং প্রয়োজন মতো ব্যবহার করতেন। বড় বড় বহু সিদ্ধান্ত নিতেন ইকবাল মাহমুদ একাই। আইনবহিভর্‚তভাবে নিজে একচ্ছত্র ‘প্রভুত্ব’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই প্রভুত্ব কায়েমেও তিনি উচ্চ আদালতের সঙ্গে জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন- মর্মে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে আপত্তি জানিয়ে দুদকের একজন পরিচালক এ প্রতিবেদকের কাছে একটি ঘটনা উদ্ধৃত করেন। ঘটনাটি প্রায় ৩ বছর আগের। কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হকের নির্দেশে পরিচালক একটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করেন। বিষয়টি ইকবাল মাহমুদের কানে গেলে তিনি ওই পরিচালককে ফোন করেন। কৈফিয়ৎ জানতে চান- কেন তিনি তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করলেন।
কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হকের নির্দেশে তিনি এটি করেছেন- জানাতেই হুংকার দিয়ে ওঠেন ইকবাল মাহমুদ। পরিচালককে বলেন, ‘হু ইজ মোজাম্মেল?’ সে কে? তার নির্দেশে কেন তুমি আইও চেঞ্জ করো? সংশ্লিষ্ট পরিচালক পরদিন এসে দেখেন টেবিলে তার বদলির আদেশ। তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে ঢাকার বাইরে। কমিশনের প্রতিটি বিষয়ে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার আগে এর নেপথ্য কর্মটিও তিনি সেরে নিয়েছিলেন। তাই দুই কমিশনারকে পাশ কাটিয়ে ইকবাল মাহমুদ বেআইনি কিছু করেছেন- এমনটি মনে করার জো নেই। হাইকোর্টের রায় থাকা সত্তে¡ও কি করে তিনি একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার ‘আইনগত বৈধতা’ নিলেন সেটি বেশ রোমাঞ্চকর।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ১২ (১) ধারাটি দুদকের ‘প্রধান নির্বাহী’ সংক্রান্ত। এখানে বলা হয়, চেয়ারম্যান কমিশনের প্রধান নির্বাহী হইবেন; এবং তাহার পদত্যাগ, অপসারণ, অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে দায়িত্ব পালনে অপারগতার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট একজন কমিশনারকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সাময়িকভাবে পালনের নির্দেশ দিতে পারবেন।’
কমিশনারদের ‘জবাবদিহিতা’ প্রসঙ্গটি উল্লেখ রয়েছে আইনটি ১২(২)ধারায়। বলা হয়েছে, ‘চেয়ারম্যানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন ও নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য কমিশনারগণ তাহাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করিবেন এবং এইরূপ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের কাছে কমিশনারদের জবাবদিহিতা থাকিবে।’
আইনের এই ধারাটি চ্যালেঞ্জ করে ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন একটি রিট (নং-৫৫০৩/১৫) করেন। রিটে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের সচিবকে ১ নম্বর বিবাদী করা হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রীপরিষদ সচিব, দুদক চেয়ারম্যান, দুদকের দুই কমিশনার এবং দুদক সচিবকে যথাক্রমে: ২,৩,৪,৫,৬ এবং ৭ নম্বর বিবাদী করা হয়। রিটে বলা হয়, আইন অনুযায়ী দুর্নীতি দমন কমিশন একটি স্বাধীন সংস্থা। এর ১৫ ধারা অনুযায়ী, এর সব সিদ্ধান্ত হবে কমিশন সভায়। ৫ ধারায় বলা হয়েছে, কমিশনের সদস্য সংখ্যা হবে তিনজন, তাদের মধ্যে একজনকে প্রেসিডেন্ট চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ দেবেন।
কিন্তু কমিশনারদের যদি চেয়রাম্যানের কাছে দায়বদ্ধ রাখা হয়, তাহলে স্বাধীন সংস্থা হিসাবে এ প্রতিষ্ঠানের কাজ বাধাগ্রস্ত হবে। শুনানি শেষে একইবছর ১৪ জুন বিবাদীদের প্রতি রুল জারি হয়। দুদক চেয়ারম্যানের কাছে কমিশনারদের জবাবদিহির বাধ্যবাধকতা স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনের মৌলিক নীতি ও আইনের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা বাতিল করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়।
শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি আশরাফুল কামালের তৎকালিন ডিভিশন বেঞ্চ রুল চূড়ান্ত করেন। হাইকোর্টের এ রায়ের ফলে চেয়ারম্যানের কাছে সংস্থাটির কমিশনারদের জবাবদিহিতা থাকল না- বলে মন্তব্য করেন অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন। ওই রিটে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন তৎকালিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
এ রায়ের বিরুদ্ধে কমিশন আপিল করেনি। মামলায় প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার জন্য সংস্থার আইন শাখা থেকে কমিশনে ফাইল তোলা হলে তৎকালিন কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপ্পু জানিয়ে দেন, রিটকারীর আবেদনের সঙ্গে তিনি একমত। অভিন্ন মত প্রকাশ করেন তৎকালিন কমিশনার মো. নাসির উদ্দিনও। উভয় কমিশনার জানিয়ে দেন-মামলায় কমিশনের প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার প্রয়োজন আছে বলে তারা মনে করেন না। কিন্তু তৎকালিন দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বললেন, কমিশনের এখানে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার প্রয়োজন আছে। কমিশনার হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রতিদ্ব›িদ্বতা করব। যেহেতু তিন কমিশনারের দুইজন প্রতিদ্ব›িদ্বতার বিষয়ে একমত হতে পারেননি, সেহেতু এ বিষয়ে কমিশনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
রিটে দুদক চেয়ারম্যানকে করা হয়েছিল ৪ নম্বর বিবাদী। দুই কমিশনারকে করা হয় ৬ ও ৭ নম্বর বিবাদী। এ কারণে মো. বদিউজ্জামান কমিশনার হিসেবে (চেয়ারম্যান হিসেবে নয়) ব্যক্তিগতভাবে সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল (নং-৩৬৬৮/২০১৫) করেন। ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ দিলেন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খানকে। পরে বদিউজ্জামান অবসরে চলে যান।
বদিউজ্জামানের পক্ষে দাঁড়িয়ে খুরশিদ আলম খান আদালতকে জানালেন বদিউজ্জামান এখন আর দুদক চেয়ারম্যান নেই। আদালত তখন বললেন, পুরনো ওকালতনামার ভিত্তিতে আপনি (খুরশীদ আলম খান) এ মামলায় অ্যাপিয়ার হতে পারেন না। বর্তমান আবেদনকারীর (ইকবাল মাহমুদ) ওকালতনামা লাগবে। এ বিষয়ে সংস্থার আইন শাখা থেকে ইকবাল মাহমুদের টেবিলে ফাইল তোলা হয়। ইকবাল মাহমুদ লিখে দেন, ‘আই ডোন্ট হ্যাভ অ্যানি পার্সোনাল ইন্টারেস্ট ইন দিস ইস্যু’। ইকবাল মাহমুদ খুরশীদ আলম খানকে কোনো ওকালতনামা দিলেন না।
২০১৬ সালে আদালত লিভ টু আপিলটি খারিজ করে দেন। বহাল থাকল হাইকোর্টের আদেশ। ফলে কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের কাছে কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম এবং ড. মোজাম্মেল হক খানের কোনো জবাবদিহিতা রইল না। দু’বছর এভাবেই চলে। এলো ২০১৮ সাল। একজন দুদক কর্মকর্তার বদলির একটি আদেশ সামনে এলো। চেয়ারম্যান হিসেবে ইকবাল মাহমুদ বদলির আদেশে স্বাক্ষর করলেন। কিন্তু নাখোশ হন কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম। তিনি স্বাক্ষরে আপত্তি তোলেন।
কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত না হওয়ায় বদলির আদেশটি ঝুলে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হন ইকবাল মাহমুদ। তৎকালিন মহাপরিচালক (প্রশাসন) আমিনুল ইসলামের স্বাক্ষর না করার কারণ তুলে ধরলেন। দুদক চেয়ারম্যান আইন শাখার আশ্রয় নেন। তার সামনে হাইকোর্টের রায় তুলে ধরা হয়। এতে তিনি সম্বিৎ ফিরে পান যে, কমিশন মূলত: একক কর্তৃত্বের জায়গা নয়। তবুও কমিশনসভা পরিহার করে ইকবাল মাহমুদ এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে থাকেন।
কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলামও প্রতিটি ফাইলে আপত্তি দিতে থাকেন। পরে তিনি স্মারক সম্বলিত কোনো নির্দেশ না দিয়ে প্রশাসনকে ‘ইও লেটার (আন অফিসিয়াল নোট) দেন। তাতে হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করতে বললেন। অন্যদিকে ভাবতে থাকেন- কিভাবে একক কর্তৃত্ব ফেরানো যায়। যে ইকবাল মাহমুদ বলেছিলেন, আই ডোন্ট হ্যাভ অ্যানি পার্সোনাল ইন্টারেস্ট ইন দিস ইস্যু’ সেই ইকবাল মাহমুদই জানালেন নিজের ইন্টারেস্টেও কথা।
আপিল পুনরুজ্জীবিতকরণের লক্ষে তিনি আইনজীবী নিয়োগ দিতে বললেন। কমিশনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম সরকারকেই তিনি ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ দেন। এ নিয়োগ সংক্রান্ত চিঠিতে দুদক পরিচালক (লিগ্যাল) আবুল হাসনাত মো. আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে আদিষ্ট হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, হাইকোর্ট বিভাগ ৫৫০৩/১৫ নং রিট পিটিশনে দুদক আইনের ১২(২) ধারা ‘স্টার্ক ডাউন’ করেন। ওই রীট পিটিশনে কমিশন কর্তৃক প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার আইনানুগ সিদ্ধান্ত না হওয়ায় কমিশন কর্তৃক প্রতিদ্ব›িদ্বতা করা হয়নি।
তৎকালিন চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান ৬ নং রেসপনডেন্ট হিসেবে এবং তৎকালিন কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন ৭ নং রেসপনডেন্ট হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে আপিল বিভাগে ৩৬৬৮/১৫ নং সিপিএলএ দাখিল করেন। পরবর্তীতে মেয়াদপূর্তিতে তার নিয়োগের অবসান হয়ে গেলে বর্তমান চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ তার স্থলে যোগদান করেন। বদিউজ্জামানের ব্যক্তিগতভাবে ব্যক্তিগতভাবে নিযুক্ত অ্যাডভোকেট খুরশীদ আরম খান বর্ণিত সিপিএলএতে পিটিশনার হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ ব্যক্তিগতভাবে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে ইচ্ছুক থাকা সাপেক্ষে ওকালতনামা চেয়ে পত্র দেন। তার প্রেক্ষিতে বর্তমান চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ ‘ই ডোন্ট হ্যাভ অ্যানি পার্সোনাল ইন্টারেস্ট ইন দিস ইস্যু’ মর্মে তাৎক্ষণিক ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। যার ফলে বিজ্ঞ আইনজীবী উক্ত সিপিএলএতে পিটিশনার প্রতিস্থাপন করতে পারেননি।
ফলশ্রæতিতে কোনো ‘লোকাস স্টান্ডি’ নেই মর্মে মাননীয় আপিল বিভাগ গত ২১/০৭/২০১৬ তারিখ বর্ণিত সিপিএলএ টি ডিসমিস করেন। বর্তমান চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ নিম্নোক্ত অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছন, ‘এটি সত্য যে আমি ব্যক্তিগত হিসেবে আমার কোনো ইন্টারেস্ট ছিল না। কারণ নতুন হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়টি আমলে আনা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এখন দেখছি ইনস্টিটিউশন হিসেবে এবং দুদক’র এর সিইও হিসেবে স্বার্থ রয়েছে। ন্যায় বিচার এবং প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে রিভিউ বা আপিল বা যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য খুরশীদ আলম খান (তিনি পূর্বেও ছিলেন) কে দায়িত্ব প্রদান করুন।
এমতাবস্থায়, পূর্বের ধারাবাহিকতায় আপনাকে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা গেল।’
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের রায় গ্রহণের ক্ষেত্রেও জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে। বদিউজ্জামান ব্যক্তিগতভাবে আপিল করেছিলেন ৬ নম্বর বিবাদী হিসেবে। খুরশীদ আলম খান ৬ নম্বর বিবাদীর (ইকবাল মাহমুদ, পদাধিকার বলে দুদক কমিশনার) পক্ষেই আইনজীবী নিযুক্ত হওয়ার কথা। কিন্তু তিনি আদালতে বিষয়টি উপস্থাপন করেন ৪ নম্বর বিবাদীর (দুদক চেয়ারম্যান) আইনজীবী হিসেবে।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান গতকাল বুধবার ইনকিলাবকে টেলিফোনে বলেন, নথি দেখলে প্রকৃত বিষয়টি বলতে পারব। যদ্দূর মনে পড়ে, আমি ইকবাল মাহমুদের ব্যক্তিগত আইনজীবী হিসেবেই মুভ করেছি। পরবর্তীতে সরকার এতে পক্ষভুক্ত হয়েছে। সরকারের সঙ্গে ইকবাল মাহমুদের আবেদন একীভ‚ত হয়ে গেছে। সর্বশেষ লিভ টু আপিল গ্রান্ড হয়েছে। এখন এটি পেন্ডিং আছে।
এদিকে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের বলেন, এক ব্যক্তির আইনজীবী নিযুক্ত হয়ে অন্যজনের তথ্য প্রদান এবং অন্য ব্যক্তির হয়ে শুনানি করা প্রফেশনাল মিসকন্ডাক্ট। ঘটনা যদি সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে বাদী এবং আইনজীবী দু’জনই আদালতের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
এদিকে হাইকোর্টের আইনজীবী প্যানেলের সাবেক একজন আইনজীবী নাম প্রকাশ না করে বলেন, আমি এটির প্রত্যক্ষদর্শী। জালিয়াতির বিষয়টি ওই সময় উচ্চ আদালতে কর্মরত দুদকের অনেকেই অবহিত। ব্যক্তিগতভাবে নিযুক্ত আইনজীবী কমিশন নিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে পারফর্ম করতে পারেন না।
এভাবে হাইকোর্টের আদেশের ওপর আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ নিয়ে ইকবাল মাহমুদ দুদকে একক কর্তৃত্ব চর্চা করেন। আর এই শক্তি-বলেই তিনি হুঙ্কার ছেড়ে বলেন, ‘হু ইজ মোজাম্মেল হক ?’উৎসঃ ইনকিলাব