বাংলাদেশ হাই কমিশন অটোয়া যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন করেছে।অনুষ্ঠানের কর্মসূচীর অংশ হিসাবে দিবসের শুরুতে বাংলাদেশ হাউজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান।পতাকা উত্তোলনের পর বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহিদদের রুহের মাগফেরাত করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দিবসের পরবর্তী কর্মসূচী বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে হাইকমিশনারের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং এর পরই ঐতিহাসিক এ দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে প্রেরিত ডকুমেন্টরি প্রদর্শন করা হয়।
ঢাকা থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতি,প্রধানমন্ত্রী পাঠ করে শোনানো হয়। হাই কমিশনার ড. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল বিশেষ আলোচনা সভায় অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ফেলো মিস নিপা ব্যাণার্জী, বিশিষ্ট রাজনৈতিক কলামিস্ট প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক খান, প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. খলিকুজ্জামান, কানাডায় নিযুক্ত ভারতের অজয় বিশারিয়া, বিশিষ্ট সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাবেক সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান নূর, এমপি অংশ নেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন যে, ৫০ বছর আগে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ভাষণটি বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছিল পশ্চিম পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে। এ ভাষণটির মাধ্যমে বাঙালি জাতি স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছিল যে, যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমেই বাঙালি জাতিয়তাবোধে উজ্জীবিত হয়েছিল বলে, সকলে মত প্রকাশ করেন।
অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ভারতের হাইকমিশনার জনাব অজয় বিশারিয়া বলেন যে, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের অনুপ্রেরণামূলক ভাষণটির মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী তথা মুজিবর্ষ উপলক্ষে সকল বাঙালিকে তিনি অভিনন্দন জানান। ভারত ঐতিহাসিক এ মুহূর্তে বাংলাদেশের সাথে অংশীদার হতে পেরে গর্বিত বলে, তিনি উল্লেখ করেন। ভারত ও বাংলাদেশ যৌথভাবে মুজিববর্ষ এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বর্ষ যৌথভাবে উদযাপন করবে বলে তিনি জানান।
হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার জন্য এবং একইসাথে নেতিবাচক প্রচারনায় বিরুদ্ধে অবস্থানের জন্য সকলকে আহ্বান জানান। তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন, ভাষা আন্দোলনসহ বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্য সকল অভিভাবককে বিশেষভাবে অনুরোধ জানান, যাতে করে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বড় হয়ে দেশ গঠনে দায়িত্বশীল অবদান রাখতে পারে।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার মুজিব বর্ষের জন্য বিশেষভাবে রচিত দুই বাংলার শিল্পীদের গাওয়া একটি গান- “হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি তুমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান” অবমুক্ত করেন। বিজ্ঞপ্তি।