সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় সিসিকের শ্রমিক ও পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ চলাকালে আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক হওয়া যুবক ফাহাদের রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক।
আটক ফয়সল আহমদ ফাহাদ (৩৮) সিলেট সিটি করপোরেশন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খানের ঘনিষ্ঠজন বলেও জানা গেছে।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে নগরীর চৌহাট্টায় ফাহাদকে ধাওয়া করে আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে একনলার একটি বন্দুক ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আটক ফাহাদ সিসিকের শ্রমিকদের গুলি করার চেষ্টা চালায়।
সংঘর্ষের সময় চৌহাট্টা এলাকায় অবস্থান করছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তার খুব কাছ থেকে ফাহাদকে অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশ। সিসিক কর্মচারিরা দাবি করেছে- মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর উপর হামলা চালাতে অস্ত্রধারী ওই যুবক প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এমন সময় শ্রমিকরা তাকে ধরে পুলিশে দেন। তবে পরিবহন শ্রমিক নেতারা দাবি করেছেন- আটক ফাহাদ তাদের কেউ নন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুপুর একটায় চৌহাট্টায় সংঘর্ষের সময় হঠাৎ লাল গেঞ্জি ও কালো প্যান্ট পরা এক যুবককে বন্দুক হাতে দেখা যায়। এ সময় সে গুলি ছোড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এ দৃশ্য দেখে পাশে থাকা সিটি করপোরেশনের শ্রমিক ও পুলিশ দল গিয়ে তাকে ধাওয়া করে আটক করে। এ সময় কেউ কেউ তাকে মারধরও করেন। তাকে যখন আটক করা হয় তখন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী কাউন্সিলরদের নিয়ে চৌহাট্টা পয়েন্টের অদূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
তাকে আটকের পর সিটি করপোরেশনের কর্মচারিরা দাবি করেন- মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর ওপর হামলা চালাতে ওই যুবক চৌহাট্টায় অবস্থান নিয়েছিলেন। তিনি বন্দুক তাক করার মূহূর্তে পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। ফাহাদকে তারা পরিবহন শ্রমিক নেতা হিসেবে পরিচয় দেন।
তবে- উত্তর চৌহাট্টা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি অরুন দেবনাথ জানিয়েছেন, আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক হওয়া যুবককে তারা চিনেন না। ওই যুবক পরিবহন শ্রমিকদের কেউ নন বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আফতাব হোসেন খানও জানিয়েছেন, অস্ত্রসহ আটক যুবক তার কেউ নন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আটক ওই অস্ত্রধারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।উৎসঃ kalerkantho