মার্কিন বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় থাকার এক গভীর ষড়যন্ত্র করেছিলেন সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এনিয়ে সংবাদ মাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশের পর এখন তোলপাড় চলছে যুক্তরাষ্ট্রে।
ট্রাম্প তার ভারপ্রাপ্ত আ্যটর্নি জেনারেলকে বরখাস্ত করে জর্জিয়া রাজ্যের ভোটের ফলাফল পাল্টে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করতে তার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টোফার মিলার ভ্যানেটি ফেয়ারকে বলেন, নভেম্বরে তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর পেন্টাগন ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা মিলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তিনটি বিষয় নিয়ে। এরমধ্যে ছিল সামরিক ক্যু এড়ানো, কোন যুদ্ধ না বাঁধানো এবং আমেরিকার জনপদে সেনাবাহিনীর মোতায়েন ঠেকানো।
মিলার বলেন, সার্বিক পরিস্থিতির উপর প্রতিরক্ষা ও বিচার বিভাগ থেকে সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছিল। সভার পর সভা চলছিল উতপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে।
তবে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হয় ট্রাম্পের উগ্রবাদী গোষ্ঠীর ক্যাপিটল হিলে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায়। মিলার বলেন, ক্যাপিটল হিলের পরিস্হিতি নাজুক আকার ধারনের আগেই আইনসভা ক্যাপিটল ভবনে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখা হয়েছিল।
নির্বাচন নিয়ে ট্রাম্পের শেষ ব্যাটল ফিল্ড হয়ে উঠেছিল জর্জিয়া।রাজ্যের গভর্নর ব্রায়ান ক্যাম্প ও সেক্রেটারি অব ষ্টেট ব্র্যাড রাফেনস্পার্জার ট্রাম্পের সরাসরি চাপের মধ্যে ছিলেন। রাফেনস্পার্জারকে ট্রাম্পের হুমকি দেয়া ফোন কল ফাঁস করে দিয়েছিল সংবাদমাধ্যম। তবে এই দুই কর্মকর্তা ট্রাম্পের হুমকি ও অন্যায় আদেশের কাছে নতি স্বীকার করেননি।
ট্রাম্প কতৃক পেন্টাগনে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা এ্যারজা কোহেন ভ্যানেটি ফেয়ারকে বলেন, ট্রাম্প আমাদের এক নাজুক পরিস্হিতির দিকে ঢেলে দিয়েছিলেন।এই কর্মকর্তা মনে করেন ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র, ঐতিহ্য ও মান মর্যদাকে ধবংস করেছেন।।